পান্না ব্যাটারির বিরুদ্ধে ৬২ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির মামলা

ফরিদপুরের পান্না ব্যাটারি ফ্যাক্টরির বিরুদ্ধে বিক্রয় তথ্য গোপন করার প্রমাণ পেয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা। ফলে ওই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বুধবার ৬২ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির মামলা দায়ের করেছে সংস্থাটি।
বুধবার নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের (মূল্য সংযোজন কর) মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
মইনুল খান বলেন, ফরিদপুরের মধুখালিতে অবস্থিত পান্না ব্যাটারি ফ্যাক্টরি। বিআইএন নাম্বার ০০০০০১৩৬৭-০২০৬। ফ্যাক্টরিটি ব্যাটারি তৈরির মূল উপাদান হার্ডলিড তৈরি করে। এরপর তারা তা ব্যাটারি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করে।
আরও বলেন, গত ১২ আগস্ট ফরিদপুরের এই ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালায় ভ্যাট গোয়েন্দা। সংস্থার সহকারী পরিচালক সালাউদ্দিন রিপনের নেতৃত্বে এ অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। অভিযানে গোয়েন্দারা তাদের বাণিজ্যিক দলিলাদি জব্দ করেন এবং মাসিক ভ্যাট রিটার্নের সাথে সেগুলো যাচাই করেন।
এতে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালে ৩৯৮টি ভ্যাট চালান ইস্যু না করে পণ্য সরবরাহ করেছে। ফরিদপুর ভ্যাট সার্কেলে রক্ষিত রিটার্নের সাথে এই গুলোর কোন কপি পাওয়া যায়নি।
পান্না ব্যাটারির বাণিজ্যিক দলিলে পাওয়া এসব এন্ট্রি ভ্যাট রিটার্নে গোপন করেছিল। এর মাধ্যমে তারা গোপনে কারখানা থেকে ২৭ লাখ ৭২ হাজার ২ কেজি হার্ডলিড সরবরাহ করে। তাদের মূল্য ঘোষণা অনুসারে প্রতি কেজি হার্ডলিডের মূল্য ১০ দশমিক ৫০ টাকা। এতে ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়াত ৪৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। ভ্যাট আইন অনুযায়ী সময়মতো ভ্যাট না দেয়ায় ২ শতাংশ হারে সুদ আদায়যোগ্য ১৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।
সর্বমোট পান্না ব্যাটারিকে ৬২ লাখ টাকা দিতে হবে। একইসাথে ন্যায় নির্নয়ন (বিচার) প্রক্রিয়ায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে আরো ব্যক্তিগত জরিমানা আরোপ করা হতে পারে। বুধবার পান্না হ্যাটট্রিক বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। যশোর ভ্যাট কমিশনারেট মামলাটি নিষ্পত্তি করবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএমজেড/এনডি