মুন্সীগঞ্জে আলুর বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকরা

ছবি: সংগৃহীত
দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ আলু উৎপাদনকারী জেলা নাম হল মুন্সীগঞ্জ। চলতি বছর চলতি মৌসুমে আলুর বাম্পার ফলনের আশায় দিন গুনছেন জেলার কৃষকরা।
জানা গেছে, গত মৌসুমে লাভের মুখ দেখায় এ মৌসুমে আলু চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন স্থানীয় কৃষক। চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৪ হাজার ৭৫৮ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০৩ হেক্টর বেশি ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বিপ্লব কুমার মোহন্ত গণমাধ্যমকে বলেন, চলতি আলু মৌসুমে জেলায় ৩৪ হাজার ৭৫৮ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়। এর মধ্যে রয়েছে মুন্সীগঞ্জ সদরে ৯ হাজার ৬১০ হেক্টর , টংগীবাড়ীতে ৯ হাজার ৯৪ হেক্টর, শ্রীনগরে ১ হাজার ৯৫০ হেক্টর, সিরাজদিখানে ৮ হাজার ৯৮৫ হেক্টর, লৌহজেং-এ ৩ হাজার ১১৫ শত হেক্টর এবং গজারিয়ায় ২ হাজার ৪ হেক্টর জমি। ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ ৪৫ হাজার ১৯৫ মেট্রিক টন।
এ মৌসুমে ৩৪ হাজার ৬৫৫হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। জেলায় গত মৌসুমে ৩৪ হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়, ফলন হয়েছিল প্রায় ১২ লাখ মেট্রিক টন।
আরও পড়ুন: মিষ্টি কুমড়া চাষে কৃষকের মাথায় হাত
সদর উপজেলার আমঘাটার কৃষক মোঃ আজমীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, এ বছর আলু চাষের অনুকূল আবহাওয়া রয়েছে। আগামীতে অবিরাম বৃষ্টি না হলে ফলন ভাল হবে। এখন পর্যন্ত জমিতে কোনো রোগ বালাই নাই।
তিনি আরও বলেন, এ বছর সাড়ে পাঁচ কানি (সাড়ে চার একর) জমিতে আলু চাষ করেছি। বর্গা জমির মূল্য এবং বীজ আলুর মূল্য বেশি থাকায় আলু আবাদে অনেক খরচ হয়েছে।
এক কানি জমিতে আলু চাষে গত বছর যেখানে খরচ হয়েছিল ৩ লক্ষ টাকা, এ বছর সেখানে খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা।
আলদি গ্রামের কৃষক কামাল ব্যাপারী আলু চাষে খরচ বেশি হওয়ায় ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কিত। তিনি বলেন, 'ধার দেনা পরিশোধ করতে জমিতেই আলু বিক্রি করে দিতে হয়।'
হিমাগারে আলু রাখা যায় না। জমিতে বাজার মূল্য ভালো না থাকলে পুঁজি শেষ হয়ে যাবে। চলতি বছর প্রতি মন আলুর উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রায় ৭ শত টাকা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বিপ্লব কুমার মোহন্ত গণমাধ্যমকে জানান, আলু আবাদের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ফলনের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি