News Bangladesh

দিনাজপুর সংবাদদাতা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৫:১৪, ৫ এপ্রিল ২০২৫
আপডেট: ১৫:১৫, ৫ এপ্রিল ২০২৫

দিনাজপুরে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা

দিনাজপুরে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা

ছবি: সংগৃহীত

চলতি মৌসুমে অতিরিক্ত ২ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ হয়েছে।

এ জেলার ১৩ টি উপজেলায় এবার কৃষকেরা  ইরি-বোরো ধানের অধিক ফলনের আশা করছেন। 

জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জাফর ইকবাল বলেন, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে জেলায় এক লাখ ৭২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অনুকুল আবহাওয়া ও কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এবার লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ২ হাজার ৩১০ হেক্টর  জমিতে ইরি-বোরো চাষ অর্জিত হয়েছে।

কৃষি বিভাগের সূত্রটি জানায়, এবার মোট এক লাখ ৭৪ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ২৯ হাজার ১২০ হেক্টর এবং উপশী এক লাখ ৪৫ হাজার ৬'শ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। 

ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, হাইব্রিড প্রতি হেক্টরে ৫ মেট্রিক টন এবং উফশী প্রতি হেক্টরে ৪ দশমিক ৫১ মেট্রিক টন। অর্জিত ইরি-বোরো ধান থেকে মোট ৮ লাখ ২ হাজার ২৫৬ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আলুর বাম্পার ফলন: হাসি নেই কৃষকের, উৎপাদন খরচই উঠছে না

উপ-পরিচালক বলেন, এবার জেলায় কোন প্রাকৃতিকদুর্যো গ না হলে ৮ লাখ মেট্রিক টনের অতিরিক্ত চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা  নির্ধারণ করা হয়েছে। সারা দেশে ধান-চালসহ বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনের উদ্বৃত্ত জেলা হিসাবে দিনাজপুর খ্যাতি রয়েছে। জেলার মাঠ গুলো এখন সবুজের এক অপরূপ শোভা ছড়াচ্ছে। বোরো ধানের শিষ দোল খাচ্ছে বাতাসে। সেচসহ আগাছা পরিষ্কারে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর ইরি-বোরো মৌসুমে গত ১৫ মার্চ পর্যন্ত এই জেলায় কৃষকেরা বোরো ধান লাগানো সম্পন্ন করেছে। এখন তারা নিজের জমিতে সেচ ও ধান খেত পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত রয়েছে । কৃষি বিভাগ জেলায় ৯২ ভাগ জমিতে বিদ্যুৎ চালিত মোটরের আওতায় সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। প্রতিদিন রাত ৮ টা থেকে ভোর পর্যন্ত সেচযন্ত্র চালিয়ে ইরি-বোরো ধানের জমিতে কৃষকেরা সেচ দিচ্ছে। সেচের সুবিধার জন্য এ সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ফলে জমিতে পানির কোন সংকট হচ্ছে না।

জেলার সদর উপজেলার নশিপুর গ্রামের কৃষক আশরাফুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎ চালিত সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে পানি সরবরাহ পাওয়ায় তাদের ইরি- বোরো ধান চাষে খুব সুবিধা হয়েছে। বিঘা বা একর প্রতি ধানের জমিতে সেচ দেয়ার জন্য সেচ যন্ত্রের মালিকের সাথে চুক্তি রয়েছে। জমির মালিকদের সেচ নেয়ার জন্য ঘুরতে হয় না। সেচ যন্ত্রের মালিকেরা নিজেরাই ধানের জমিতে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি সেচ দিয়ে থাকেন। চুক্তির অর্ধেক টাকা দিয়ে বাকি টাকা ধান কাটার পর পরিশোধ করেন। একই কথা জানালেন, চিরিরবন্দর  উপজেলার ভিয়াইল গ্রামের কৃষক অর্জন চন্দ্রদাস ও সামসুল ইসলাম। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় তারা এবার অধিক ফলনের আশা করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, পুরো জেলায় এবার উন্নত ধানের জাত ব্রি ২৩, ২৯, ১০২, ৮৯, ৯২, ও ব্রি ১০৪ চিকন জাতের ধান বেশি চাষ হয়েছে। এছাড়াও মোটা ধানের জাত ব্রি টিয়া, ময়না ও সিনজেনটা- ব্রি  ১২০৫ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে।

অধিদপ্তর  আরো জানায়, এখনো পর্যন্ত জেলার ১৩ টি উপজেলার কোন স্থান থেকেই ইরি বোরো ধান চাষে কোন সমস্যার খবর তাদের কাছে আসেনি।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়