News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:২৯, ২২ মে ২০২৫
আপডেট: ১৭:৪০, ৩১ মে ২০২৫

বিলুপ্ত হতে পারে ১০ লাখ প্রজাতি, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র 

বিলুপ্ত হতে পারে ১০ লাখ প্রজাতি, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র 

ছবি: সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার ২২ মে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস-২০২৫’। প্রতি বছরের মতো এ বছরও দিবসটি যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতেই এই দিবস পালিত হয়ে থাকে।

 ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দের আজকের এই দিনে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে বায়োডাইভার্সিটি (সিবিডি) চুক্তি অনুযায়ী জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করতেই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত জনসংখ্যার মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য মানুষ ৬০ ভাগ জ্বালানির চাহিদা পূরণ করছে বনের কাঠ দিয়ে। এছাড়াও বসতবাড়ি নির্মাণ, ফসল চাষাবাদ, রাস্তাঘাট নির্মাণ, নগরায়ণ, জুমচাষ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বৃক্ষের পরিচর্যার অভাব, পরিবেশ দূষণ, পাহাড় কাটা, পাহাড় ধ্বংস, বৃক্ষের রোগ, বনবিধি অমান্য করাসহ বিভিন্ন কারণে বন ধ্বংস হচ্ছে।

অন্যদিকে অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে নদীতে দেওয়া হচ্ছে বাঁধ, অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু, ফলে বদলে যাচ্ছে নদীর গতিপথ, নষ্ট হচ্ছে জলাধার আর বসবাসের চাহিদা মেটাতে শহর ঢেকে যাচ্ছে বড় বড় কংক্রিটের দালানে। এতে বাড়ছে তাপমাত্রা, সংকটে পড়ছে দেশের জীববৈচিত্র্য। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মানুষের অসচেতনতা আর দখলদারিত্ব এই সংকটের অন্যতম কারণ। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের পরিবেশর ওপর।

প্রকৃতি ধ্বংসের বর্তমান এই ধারা চলতে থাকলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ লাখ প্রজাতি বিলুপ্ত হতে পারে বলে মনে করছে জাতিসংঘ। 

আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে নিহত ২

সংস্থাটি বলছে, জলবায়ু পরিবর্তন যেভাবে হচ্ছে, তা যদি চলতে থাকে, তাহলে ২০৭০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী প্রাণী ও উদ্ভিদের প্রতি তিনটির মধ্যে একটি প্রজাতি বিলুপ্ত হতে পারে। দেখা গেছে, গত ৫০ বছরে গড়ে ৬০ শতাংশের বেশি বন্যপ্রাণী হ্রাস পেয়েছে। আর সে হিসাবে গত ১০ মিলিয়ন বছরের তুলনায় বর্তমানে প্রজাতি বিলুপ্তির গড় হার ১০-১০০ গুণ বেশি।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশে বন পুনরুদ্ধার, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বননির্ভর জনগোষ্ঠীর জীবিকা উন্নয়নে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। তিনি জানান, ইতিমধ্যে ১ লক্ষ ৩ হাজার ৯৬০ হেক্টর বনভূমি পুনঃ স্থাপন করা হয়েছে, যার ফলে পাহাড়, শালবন ও উপকূলীয় অঞ্চলে দেশীয় উদ্ভিদের বৈচিত্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি জানান, ১ হাজার উদ্ভিদ প্রজাতির রেড লিস্ট মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে এবং পাঁচটি সংরক্ষিত অঞ্চলে আক্রমণাত্মক বিদেশি উদ্ভিদ প্রজাতির ব্যবস্থাপনার কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস জাতিসংঘের ২০১৫ পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অন্তর্গত। 

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়