News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:০১, ২৪ নভেম্বর ২০২০
আপডেট: ১৪:০৫, ২৪ নভেম্বর ২০২০

নাটকীয় ম্যাচে রাজশাহীর ২ রানে জয়

নাটকীয় ম্যাচে রাজশাহীর ২ রানে জয়

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টানটান উত্তেজনার মধ্যদিয়ে জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী। উদ্বোধনী ম্যাচে শেষ ওভারের উত্তেজনায় নাটকীয় ভাবে ২ রানে মুশফিকদের হারায় তারা। 

জয়ের জন্য ১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৭ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ব্যাট হাতে হাফসেঞ্চুরি ও বল হাতে অসাধারণ বোলিং করে এক উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন রাজশাহীর মেহেদী হাসান।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩৮ রানে দুই ওপেনারকে হারায় মুশফিকুর রহিমের ঢাকা। ওপেনার তানজিদ হাসান ১৮ ও ইয়াসির আলী ৯ রান করে বিদায় নেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মোহম্মদ নাঈমের ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান।

নাঈম ১৭ বলে দুটি করে চার ছক্কায় ব্যক্তিগত ২৬ রান করে আরাফাত সানীর বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপর ক্যাপ্টেন মুশফিকের সাথে ছোট একটি ঝড় তোলেন দেশের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ক্যাপ্টেন আকবর আলী। 

ঢাকার এই শক্ত জুটিতে আঘাত হানেন ফরহাদ রেজা। ইনিংসের ১৬তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ১২৬ রানের মাথায় আকবর ৩৪ রান করে ক্যাচ দেন। ২৯ বলে চার বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় এ রান করেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান। 

১৮তম ওভারে ক্যাপ্টেন মুশফিক নিজের ভুলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। ৩৪ বলে তিন বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ঢাকার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন তিনি। ঢাকার দলীয় রান তখন ১৭.১ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৪। 

শেষ মুহুর্তে ব্যাটিংয়ে আসেন সাব্বির রহমান ও মুক্তার আলী। শেষ ওভারে জিততে ঢাকার প্রয়োজন হয় ৬ বলে ৯ রান। কিন্তু ঐ শেষ ওভারটি বল করতে আসেন স্পিনার মেহেদী হাসান। ওভারের প্রথম চার বলে শুন্য রান ঢাকা। চতুর্থ বলে মুক্তার আলীর ব্যাট থেকে একটি বাউন্ডারি আসে। 

ফলে শেষ দুই বলে জিততে ঢাকার প্রয়োজন ছিল ৫ রান। মেহেদীর করা পঞ্চম বলটি নো! ফলে ঐ বলটিতে ফ্রি হিট পেয়েও কোন কাজে লাগাতে পারেনি মুক্তার। ফলে শেষ বলে বলে ২ রানে হার মেনে নিতে হয় স্বাগতিকদের। মুক্তার ২৭ ও সাব্বির ৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। রাজাহীর হয়ে মেহেদী,এবাদত,সানী ও ফরহাদ একটি করে উইকেট নেন।

এর আগে মিরপুর শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে হেরে ব্যাটিংযে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। ব্যাটিংয়ে নেমে অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত ও আনিসুল ইসলাম ইমন ৩১ রানের জুটি গড়েন। শান্ত ১৭ ও ইমন ৩৫ রান করে বিদায় নেয়ার পর দ্রতই উইকেট হারায় তারা। রনি তালুকদার ৬,মোহাম্মদ আশরাফুল ৫ ও ফজলে মাহমুদ শুন্য রানে বিদায় নেন।

৯.৪ ওভারে দলীয়  ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারায়। দলের বিপদে নুরুল হাসানের সাথে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন তরুণ ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান। ব্যাটিং বিপর্য কাটিয়ে দলকে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখান এ জুটি। দ্রতই হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মেহেদী। 

তাকে সঙ্গ দেয়া সোহান মাত্র ২০ বলে দুই বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় ব্যক্কিগত ৩৯ রান করে মুক্তারের বলে বিদায় নেন। ১৭.৫ ওভারের মাথায় সোহানের বিদায়ের পরের ওভারেই আউট হন মেহেদী। ৩২ বলে নিজের ৫০ রানে ক্যাট দিয়ে ফেরেন। ১৮.২ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে রাজশাহীর রান তখন ১৫৬। কিন্তু এরপর বাকি চার ব্যাসম্যান মিলে ১৬ বলে মাত্র ১৩ রান যোগ করেন। ফরহাদ ১১ আরাফাত সানী শুন্য,মুকিদুল ইসলাম শুন্য ও এবাদত হোসেন ২ রান করেন।

বল হাতে মুশফিকের ঢাকার পক্ষে মুক্তার আলীয় ৪ ওভারে ২২ রানে নেন সর্বোচ্চ তিন উইকেট। এছাড়া রুবেল হোসেন,নাঈম আহমেদ ও মেহেদী হাসান রানা নেন একটি করে উইকেট।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/এএস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়