বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে উদ্বোধনী ম্যাচেই উত্তেজনার আভাস

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মঙ্গলবার মুখোমুখি হবে বেক্সিমকো ঢাকা ও মিনিস্টার রাজশাহী। উত্তেজনার এই টি-টোয়েন্টিতে জয়ের জন্য মরিয়া দুই দলের ক্যাপ্টেন। ঢাকার অধিনায়ক দলপতি মুশফিকুর রহিম হুমকি দিয়ে বলেন, টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো হলে দলের টিউন আপনা আপনিই সেট হয়ে যাবে। যা পরের ম্যাচগুলোতেও দাপুটে জয়ের জ্বালানি যোগাবে। অপরদিকে প্রতিপক্ষ রাজশাহী অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সাফ জানিয়ে দিলেন, ঢাকা বধে তারাও প্রস্তুত।
ঢাকার মিরপুর শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর দেড়টায়। দিনের অপর ম্যাচে সন্ধা সাড়ে ছয়টায় মুখোমুখি হবে বরিশাল ও খুলনা। তার আগে সোমবার মিরপুর কঠোর অনুশীলন করেছে দলগুলো। উদ্বোধনী ম্যাচে অভিজ্ঞতার বিচারে অনেকেই হয়তো মুশির ঢাকাকে পিছিয়ে রাখবেন।
কারণ নাঈম শেখ ও সাব্বির রহমান ছাড়াও তরুণ তানজিদ হাসান তামিমরা আছেন। এছাড়া ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি, রবিউল ইসলাম রবি। আর মিডল অর্ডারের দায়িত্ব সামলাবেন আকবরর আলী, পিনাক ঘোষ। লোয়ার অর্ডারে অভিজ্ঞ সাব্বির রহমান রোমানকে সঙ্গ দেবেন শাহাদাৎ হোসেন দিপু। দলের বোলিং বিভাগেও রুবেল হোসেন ও নাঈম হাসান ছাড়া ডাকসাইটে কোনো নাম নেই।
রুবেল হোসেনের সঙ্গে দলের পেস বোলিং বিভাগ সামলাতে আছেন তরুণ আবু হায়দার রনি, মুক্তার আলী ও মেহেদি হাসান রানা। আর স্পিন বোলিং বিভাগে নাঈম হাসানের সঙ্গী হিসেবে থাকবেন নাসুম আহমেদ। কিন্তু তবুও মুশি আশাবাদী। কেন জানেন? তাঁর স্কোয়াডে আছেন যুবা বিশ্বকাপজয়ী ত্রয়ী: আকবর আলী, তানজিদ তামিম ও শাহাদাৎ হোসেন দিপু।
প্রথম ম্যাচ নিয়ে ঢাকার অধিনায়ক বলেন,‘আশা করছি বেক্সিমকো ঢাকার হয়ে যাতে খুব ভালো একটা শুরু করতে পারি ও সেটা যেন শেষ করতে পারি। আমাদের প্রথম লক্ষ্য থাকবে শীর্ষ চারে যাতে যেতে পারি। অবশ্যই তারপর যাতে ফাইনালটা খেলতে পারি। এরপর যেটা বললেন আল্টিমেটলি লক্ষ্য তো হচ্ছে চ্যাম্পিয়নশিপ। সেদিকেই আমাদের লক্ষ্য আছে। আশা করছি শুরুটা যাতে ভালো করতে পারি।’
এছাড়া তিনি বলেন,‘হ্যাঁ তারা অনভিজ্ঞ বা তরুণ হতে পারে কিন্তু তারা পরিপক্ক। আমি শেষ ১৫-১৬ বছর খেলেছি একটা বিশ্বকাপও জিততে পারিনি। আমাদের দলে এমন তিন-চারজন প্লেয়ার আছে যারা বিশ্বকাপ জয়ী ওই টিমের। বিশ্বকাপ জেতার চেয়ে তো বড় চাপের কিছু হতে পারে না। আমি মনে করি ওই রকম মানসিকতার পরিপক্ক প্লেয়ার আছে। তারা যদি নিজেদের মেলে ধরতে পারে আর আমরা সিনিয়র যারা আছি তাদের সাপোর্ট দিতে পারি তাহলে ইনশাআল্লাহ ভালো একটা টুর্নামেন্ট কাটবে।’
মুশফিকের মতো রাজশাহীর দলেও তারুণ্যের ছড়াছড়ি। মোহাম্মদ আশারাফুল, ফরহাদ রেজা, রনি তালুকদার ও ফজলে রাব্বি ও আরাফাত সানিকে বাদ দিলে বাদ বাকি সবাই তরুণ। যেহেতু টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ জয়ে এক ওভারই যথেষ্ট তাই ততটা ভাবতে হচ্ছে না রাজশাহী দলপতিকে। কেননা অভিজ্ঞদের সাথে তরুণরা জ্বলে উঠলে ভালো কিছু করতেই পারে।
নিজেদের শক্তি নিয়ে শান্ত বলেন,‘আমার দলে তরুণ ক্রিকেটারও অনেক আছে। চারদিকে চিন্তা করলে কম্বিনেশন ভালো। মনে হয় না সমস্যা হবে। পাশাপাশি আমার রেগুলার পারফর্ম করা রান করা। ওই জায়গায়টায় ভালোভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। নজর দিচ্ছি কীভাবে ভালো রান করা যায়। অবশ্যই শেষ দুই তিনটা ইনিংস খুব ভালো ছিল টি-টোয়েন্টির। ওই ইনিংসগুলো চিন্তা করলে অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী আছি।’
তবে কিছুটা ভাবনা তার থেকেই যাচ্ছে। কেননা গোঁড়ালির চোটে ইতোমধ্যেই এক সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন দলের কি প্লেয়ার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ পদ্মা পাড়ের দলের এই দলপতি। ‘অবশ্যই সাইফউদ্দিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিল আমাদের। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত হয়তো বা প্রথম ছয়-সাতদিন আমরা তাকে পাচ্ছি না। এরপর আরেকটা রিপোর্ট পাবো। কিন্তু এটা নিয়ে আসলে খুব বেশি চিন্তা করার সুযোগ নাই। যেহেতু কালকে ম্যাচ। যেই দলই হবে, সেটা নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী।’
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/এএস