রিয়াদ একাদশের সাথে তামিমদের লজ্জার হার

বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একাদশ। মঙ্গলবার মিরপুর দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম ইকবালের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জয় পেয়েছে মাহমুদউল্লাহর দল। তামিমদের দেয়া ১০৩ রানে লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রিয়াদরা।
অবশ্য ১০৪ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন নাঈম শেখ, লিটন দাস, ইমরুল কায়েস। এরপর মুমিনুলের সঙ্গে ৩৯ রানের জুটি গড়ে শুরুর বিপদ সামাল দেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সাবধানে পথ হাঁটা মাহমুদউল্লাহ বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের দারুণ ঘূর্ণিতে বোল্ড হন। ৩৯ বলে ১০ রান করে যান। মুমিনুল ছিলেন বেশ সাবলীল। অবশ্য শেষ পর্যন্ত তিনিও টিকতে পারেননি। ফেরেন জয় থেকে ২৭ রান দূরে যখন দল।
তাইজুলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। ৬২ বলে ৩৯ রানের ইনিংসে ছিল ৬টি চারের মার। এ দিন পাঁচ উইকেটের জয়ে নুরুল হাসান সোহান রাখেন দারুণ অবদান। ৪১ রানে অপরাজিত থেকে খেলা শেষ করেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। খেলেন মাত্র ৩৮ বল। মারেন ছয়টি চার ও একটি ছক্কা। সাব্বির রহমান অপরাজিত থাকেন ৪ রানে।
এর আগে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফলে দুই তামিম (তামিম ইকবাল, তানজিদ হাসান তামিম) ওপেন করতে নেমেছিলেন তামিম একাদশের। সিনিয়র তামিমের সঙ্গে জুনিয়র তামিমের ওপেন করার বিষয়টি বেশ রোমাঞ্চ ছড়ালো। কিন্তু মাঠের ক্রিকেটে এই রোমাঞ্চ টিকেছে মাত্র ৯ বল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে তামিম ইকবালকে এলবির ফাঁদে ফেলান রুবেল হোসেন। তারপর বৃষ্টি হানায় খেলা বন্ধ। ফলে ৫০ ওভার থেকে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে ৪৭ ওভার হলো। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ একাদশের বোলারদের আগ্রসন থামেনি।
বৃষ্টির পর অবশ্য তরুণ তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে বেশ ভালোই এগুচ্ছিলেন এনামুল হক বিজয়। এরপর বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন পেসার রুবেল। দারুণ খেলতে থাকা তানজিদ হাসানের সঙ্গে তিন বলের ব্যবধানে তুলে নেন মোহাম্মদ মিঠুনকেও। তানজিদ ফেরার আগে ১৮ বলে ৩ চারে ২৭ রান করেছেন। মিঠুন ফিরেছেন কোনো রান না করেই। রুবেলের শুরুর থাক্কার পর বলার মতো কোনো জুটিই গড়তে পারেনি তামিম একাদশ।
যাওয়া-আসার মিছিলে নেমেছিলেন দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা। মাঝখানে এনামুল হক বিজয় ও পেস অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন আশা দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু সেট হয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি বিজয়। শেষ দিকে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে বিদায় সাইফ। ৩৩ বলে ২ চার ১ ছয়ে ২৫ রান করেছেন বিজয়। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে সাইফের সংগ্রহ ৩১ বলে ১২। এছাড়া দুই অঙ্কের কোটা পেরুতে পেরেছেন কেবল মেহেদি হাসান (২৩ বলে ১৯)।
মাহমুদউল্লাহ একাদশের হয়ে রুবেল হোসেন ৫ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচায় নিয়েছেন তিন উইকেট। তরুণ পেসার সুমন খান ৩ উইকেট নিয়েছেন ৫ ওভারে ৩১ রান খরচায়। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন এনামুল হক বিজয় ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/এএস