হাতিয়ায় ট্রলার ডুবি: রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ২

নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ঝড়ো আবহাওয়ার কবলে পড়ে যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনায় আরও এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় মোট দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

এখনো নিখোঁজ রয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম (২৮) ও তিন বছরের রোহিঙ্গা শিশু মো. তামিম।

শনিবার (৩১ মে) বিকেল তিনটার দিকে হাতিয়ার করিম বাজার সংলগ্ন ডুবারচরের মেঘনা নদীতে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারটি ভাসানচর থেকে হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। এতে চার পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, আনসার সদস্য ও এনজিও কর্মীসহ মোট ৩৯ জন যাত্রী ছিলেন।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা জানান, দুর্ঘটনার পর ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধারকাজে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের যৌথ অভিযান চলমান রয়েছে। 

আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলার ডুবি, ৬ জন নিখোঁজ

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন—ভাসানচর থানার সাব পোস্ট মাস্টার ও ফেনীর দৌলতপুর এলাকার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৩) এবং ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১নং ক্লাস্টারের মো. তারেকের স্ত্রী হাসিনা খাতুন (২৫)।

রবিবার (১ জুন) সকালে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বিবিরহাট এলাকায় মেঘনা নদীতে ভাসমান অবস্থায় হাসিনা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেন বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম। মরদেহটি শনাক্তের জন্য ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন সুধারাম থানার পুলিশ কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম এবং রোহিঙ্গা শিশু মো. তামিম। তাঁদের উদ্ধারে এখনো অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, ট্রলারটি ভাসানচর থেকে রওনা দিয়ে ৭-৮ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করার পর বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়।