চাকরি অধ্যাদেশে অপপ্রয়োগের আশঙ্কা, বাতিলের দাবি

ফাইল ছবি
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর কয়েকটি ধারা অপপ্রয়োগের আশঙ্কা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কিছু প্রভিশনের অপব্যবহারের সুযোগ থাকতে পারে, যা নিয়ে সরকার সচেতন এবং আলোচনা করবে উপদেষ্টা পরিষদে।
রবিবার (১ জুন) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
বৈঠকে কর্মচারীরা সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫ বাতিলের দাবি জানিয়ে উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেন এবং অধ্যাদেশটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তা রিভিউ করার আহ্বান জানান।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, অধ্যাদেশের কিছু ধারা নিয়ে কর্মচারীদের উদ্বেগ যৌক্তিক। এগুলোর অপপ্রয়োগের সম্ভাবনা আছে এবং আমরা সেটা নিয়ে আলোচনা করব।
তিনি আরও বলেন, আপনারা (কর্মচারীরা) মনে রাখবেন, অধ্যাদেশে ত্রুটি থাকলে সেগুলো সংশোধন করে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুযোগ আছে।
আরও পড়ুন: মবের নামে নাশকতার সুযোগ নেই এখন, সারজিসকে সেনা কর্মকর্তা
একইদিন সকালে সচিবালয়ের বাদামতলায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে আসা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে তাদের বিরোধ প্রকাশ করেন। এরপর তারা ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের কাছে পৃথকভাবে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, অধ্যাদেশে এমন কিছু ধারা সংযোজন করা হয়েছে যার মাধ্যমে কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সহজেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পথ খুলে গেছে। তারা দাবি করেন, এসব ধারার মাধ্যমে সরকারি চাকরির নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে এবং তাই নিবর্তনমূলক সব ধারা বাতিল করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং পরবর্তীতে তা ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ হিসেবে প্রকাশ করা হয়।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান কর্মরতদের সচিবালয়ের কাজের পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপন করব। তবে ভাবতে হবে, এটি রেখে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা সংযুক্ত করেও কি গ্রহণযোগ্য করা যায়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি