News Bangladesh

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৮:১০, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

খাগড়াছড়িতে অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থী মুক্ত: পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ

খাগড়াছড়িতে অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থী মুক্ত: পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ

ছবি: সংগৃহীত

অপহরণের সাত দিন পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে মুক্তি দিয়েছে অপহরণকারীরা। তবে বুধবার তাদের মুক্তি দিলেও বিষয়টি বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) জানাজানি হয়। 

পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)। 

পিসিপির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রিবেক চাকমা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে অপহৃত পিসিপি সদস্য রিশন চাকমাসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে ব্যাপক জনরোষের মুখে পড়ে অপহরণকারীরা কয়েক দফায় মুক্তি দিয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে নিশ্চিত হয়েছে পিসিপি।

বিবৃতিতে বলা হয়, অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে আপামর সাধারণ শিক্ষার্থী, প্রগতিশীল ব্যক্তি ও ছাত্রসংগঠন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন গড়ে তোলেন। অবশেষে ব্যাপক জনরোষের মুখে পড়ে অপহরণকারীরা কয়েক দফায় মুক্তি দিয়েছে।

ডিবির হারুনের আরও ১ ফ্ল্যাট, ৩ প্লট জব্দের আদেশ

বিবৃতিতে পিসিপি শিক্ষার্থীদের মুক্তির আন্দোলনে সোচ্চার থাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার বলেন, ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। যেহেতু পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ থেকে বিবৃতি দিয়েছে।

এর আগে, বিজু উৎসব উদ্‌যাপন শেষে ফেরার পথে ১৬ এপ্রিল সকালে খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে পাঁচ শিক্ষার্থী ও তাদের বহন করা অটোরিকশার চালককে অজ্ঞাতনামা স্থানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন পিসিপির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র রিশন চাকমা, চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অপহরণকারীরা চালককে ওই সময় ছেড়ে দিয়েছিল।

পাঁচ পাহাড়ি শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় শুরু থেকে ইউপিডিএফকে দায়ী করে আসছে জেএসএস–সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিপুন ত্রিপুরা। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ইউপিডিএফের অন্যতম জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়