News Bangladesh

স্টাফ রিপোর্টার || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৫:৩৬, ২৭ মে ২০২৫
আপডেট: ১৯:৫৮, ২৭ মে ২০২৫

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদসহ গ্রেফতার ৪

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদসহ গ্রেফতার ৪

ছবি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

অস্ত্রসহ দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। 

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর— আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, মঙ্গলবার (২৭ মে) আনুমানিক ভোর ৫ টায় কুষ্টিয়া জেলা থেকে শীর্ষ তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়। 

পরবর্তীতে, তাদের নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা হতে সুব্রত বাইন এর অপর দুই সহযোগী শ্যুটার আরাফাত এবং শরীফকে গ্রেফতার করা হয়। 

মিরপুরে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২২ লাখ টাকা ছিনতাই

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযানকালে ৫ টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩ রাউন্ড এ্যামোনিশন এবং ১ টি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের নামে বিভিন্ন থানায় হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন নাশকতার মামলা রয়েছে। 

বিকালে সংবাদ সম্মেলনে এসে আইএসপিআর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী বলেন, "বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একটি ইউনিট দুজন তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও তাদের দুজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা সক্ষম হয়েছে।"

উল্লেখ্য যে,

সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

১৯৯১ সালে ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় জাসদ ছাত্রলীগ নেতা মুরাদ হত্যার মধ্য দিয়ে তার সন্ত্রাস জীবনের উত্থান শুরু হয়।

২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে, তাদের মধ্যে ঢাকার অপরাধ জগতের তখনকার প্রভাবশালী ‘সেভেন স্টার’ গ্রুপের প্রধান সুব্রত বাইনও ছিলেন।

২০০৩ সালের দিকে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর তৎপরতা বেড়ে গেলে সুব্রত ভারতে পালিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর কলকাতার স্পেশাল টাস্কফোর্স কারাইয়া এলাকা থেকে ২০০৮ সালের ১৩ অক্টোবর সুব্রতকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে কলকাতায় অস্ত্র ও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলাও হয়। ওই মামলায় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার গা ঢাকা দেন সুব্রত।

এরপর ২০০৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের কর্মকর্তাদের ধাওয়া খেয়ে সুব্রত বাইন নেপাল সীমান্তের কাকরভিটা শহরে ঢুকে পড়েন। পরে নেপালের পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের প্রায় তিন বছরের মাথায় ২০১২ সালের ৮ নভেম্বর সুড়ঙ্গ খুড়ে নেপালের কারাগার থেকে পালিয়ে ফের ভারতে অনুপ্রবেশ করেন সুব্রত বাইন।

একই বছরের ২৭ নভেম্বর কলকাতার বৌবাজারের একটি বাসা থেকে সুব্রতকে গ্রেপ্তার করে ভারতীয় পুলিশ। 

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়