ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়ালো ৫৪ হাজার

ছবি: আল জাজিরা
ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গাজার হামাসনিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৫৪ হাজার ৫৬ জন। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ২৩ হাজার ১২৯ জন।
গাজার উত্তরাঞ্চলে সাংবাদিক ওসামা আল-আরবিদের বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আটজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ভোর থেকে এ পর্যন্ত পুরো গাজা উপত্যকাজুড়ে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন পরিচালিত একটি সহায়তাকেন্দ্রে ছুটে আসা মানুষের ওপর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণে কমপক্ষে তিন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন।
কাতার ভিত্তিক সংবাদসংস্থা আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গাজায় মার্কিন ও ইসরায়েল সমর্থিত একটি বিতর্কিত গোষ্ঠীর নতুন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে ভিড় জমাতে দেখা যায়। ওই কেন্দ্রটি কাজ শুরু করার একদিনের মাথায় এমন ঘটনা ঘটেছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, রাফাহ শহরের গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন বা জিএইচএফ কম্পাউন্ডে লোকজন কাঁটাতারের বেড়া ও মাটির বাঁধ ডিঙিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ছে।
আগুন নিয়ে খেলছেন পুতিন: ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
জিএইচএফ জানিয়েছে, এক পর্যায়ে ত্রাণ প্রত্যাশীদের তুলনায় বিতরণ কর্মীদের সংখ্যা কম হওয়ায় তাদের দলকে পিছু হটতে হয়। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, এই ভিড় সামলাতে তাদেরকে ফাঁকা গুলিও ছুঁড়তে হয়েছে।
জাতিসংঘকে পাশ কাটিয়ে জিএইচএফ নামের এই ত্রাণ বিতরণ সংস্থাটি সশস্ত্র মার্কিন নিরাপত্তাকর্মী (ঠিকাদার) ব্যবহার করে গাজায় ত্রাণ সরবরাহের চেষ্টা করছে।
১১ সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাঁজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও বর্তমানে সেই অবরোধ কিছুটা শিথিল হয়েছে।
গাজায় ওই ত্রাণ বিতরণের ভিডিওগুলোকে হৃদয় বিদারক বলে মন্তব্য করে জাতিসংঘ বলছে, তারা এরই মধ্যে ২১ লাখ মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহের একটি পরিকল্পনাও তৈরি করে রেখেছে। জাতিসংঘ এবং প্রধান আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, সেখানে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন মানবিক নীতি মেনে না চললে আরও মৃত্যুর ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি