News Bangladesh

তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৯:২৬, ২৮ মে ২০২৫

‘যে যে সীমায় আছে তাকে সেখানে থেকে ব্যবসা করতে দেন’

‘যে যে সীমায় আছে তাকে সেখানে থেকে ব্যবসা করতে দেন’

ছবি: সংগৃহীত

টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) বুধবার (২৮ মে) রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া কনভেনশন হলে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং নীতিমালা: কোন পথে এনটিটিএন -এর ভবিষ্যৎ শীর্ষক কর্মশালা আয়োজন করে। 

টিআরএনবির সভাপতি সমীর কুমার দে-র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন। তিনি দাবি করেন, দেশীয় উদ্যোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছি। তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে হলেও বিদেশি নির্ভরতা কমাতে হবে।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বক্তারা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির উদ্দেশে বলেন, আপনারা বাউন্ডারি ঠিক করে দেন। যে যে বাউন্ডারিতে (সীমায়) আছে তাকে সেখানে থেকে ব্যবসা করতে দেন। বিটিআরসিকে এটাকে প্রটেক্ট করতে হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বক্তারা বলেন, লাস্ট মাইল কানেক্টিভিটি মোবাইল অপারেটররা দিলে আইএসপি (ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান) প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। 

গুগল পে আসছে বাংলাদেশে

নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসির) খসড়া টেলকো টপোলজি জাতীয় নিরপত্তা হুমকির পাশাপাশি বিদেশি কোম্পানির স্বার্থ রক্ষা ও বেকারত্ব বাড়াবে বলে মনে করছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা। এজন্য লাইসেন্স নীতিমালা বাস্তবায়নের আগে দেশের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে টেলিকম খাতের অন্তর্জাতিক সংগঠন আইটিইউ দিয়ে ভেটিং করার দাবি জানিয়েছেন এই খাতের এনটিটিএন অপারেটর ফাইবার অ্যাট হোম।

ফাইবার অ্যাট হোমের চেয়ারম্যান মইনুল হক সিদ্দিকি বলেন, নতুন টপোলজির যুক্তি হিসেবে বর্তমান টেলিকম কাঠামো প্রযুক্তিবান্ধব নয় বলা হলেও তা সঠিক নয়। তবে বিনিয়োগ কিছু কম হয়েছে। কিন্তু ৫জি তে বিনিয়োগে বাধা নেই। এখানেই ধীর গতি দেখতে পাচ্ছি। সীমিত প্রতিযোগিতার কথা বলা হলেও লাইসেন্সের চাপে আমরা পিষ্ট হচ্ছি। অথচ বিদ্যমান ইকোরসিস্টেম দুমড়ে মুচড়ে নতুন কিছু করতে যাচ্ছে। 

নতুন নীতিমালা সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে এটি পরিমার্জনের দাবি করেছেন টেলিকম বিশষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির। তিনি বলেন, এই সেবা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার অংশ। এক্ষেত্রে বিদেশী বিনিয়োগ নির্ভরতা যুক্তিসঙ্গত হলেও নতুন নীতিমালায় লাইসেন্সিং এ গুরুত্ব না দিয়ে দেশেই সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়ার দরকার ছিলো। একটি লেয়ার যেন আরেকটি লেয়ারে প্রবেশের বাধা সৃষ্টির চেষ্টা হলেও মোবাইল অপারেটরদের জন্য সব সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তারা যদি ফাইবার টানতে পারে, তাহলে ভাষার ম্যারপ্যাঁচ দিয়ে দেশের আইএসপি সেবা খাত দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। 

ফাইবার অ্যাট হোমের অতিরিক্ত পরিচালক আজাদ চৌধুরীর বক্তব্যের পর প্রতিষ্ঠানটির চিফ গভর্নেন্স অ্যাফেয়ার্স অফিসার আব্বাস ফারুক এনটিটিএন -এর ভবিষ্যতের শঙ্কার কথা তুলে ধরেন। 

অপর একটি উপস্থাপনায় প্রস্তাবিত টপোলজির অসামঞ্জস্য বিষয় তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) রবিউল ইসলাম। তিনি জানান, যে লক্ষ্য নিয়ে এটা করা হয়েছে তাতে বৈষম্য কমার বদলে বাড়বে। টেলিকম খাতকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে। এমএনওরা ছোট ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করবে। এতে বাজার ভারসাম্য হারাবে। প্রতি স্তরে নেটওয়ার্ক শেয়ারিং ব্যবসায় নিরাপত্তা বিনষ্ট করবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএএইচ/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়