আইএসপি অ্যাসোসিয়েশনে প্রশাসক চায় না বেশিরভাগ সদস্য

বাংলাদেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)-এর ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল শনিবার (১৭ মে)। নির্বাচনকে ঘিরে সদস্যদের প্রত্যাশা—সংগঠন পরিচালনায় যেন প্রশাসক নয়, নির্বাচিত একটি শক্তিশালী নেতৃত্ব দায়িত্ব নেয়।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে ‘আইএসপি ইউনাইটেড প্যানেল’ আয়োজিত নির্বাচনী প্রচারণার সমাপনী অনুষ্ঠানে সদস্যদের এই প্রত্যাশা উঠে আসে। অনুষ্ঠানে জেনারেল ক্যাটাগরির ২৬৩ ভোটারের মধ্যে দুই শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। 

তারা সমস্বরে জানান, প্রশাসকের প্রয়োজন নেই—একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই নেতৃত্ব নির্বাচন হওয়া উচিত।

অনুষ্ঠানে প্যানেল লিডার ও আইএসপিএবির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম উপস্থিত সদস্যদের প্রশ্নের উত্তর দেন এবং নির্বাচনে বিজয়ী হলে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। 

তিনি বলেন, আইএসপিএবি শতভাগ দেশীয় উদ্যোক্তাদের সংগঠন। এই খাতকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে এবং ন্যায্য ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। 

আরও পড়ুন: ব্রডব্যান্ড যুদ্ধ: সংকটের মুখে বাংলাদেশের আইএসপি খাত

তিনি আরও জানান, ধানমন্ডির মতো এলাকায় একটি ক্যাবলের মাধ্যমে প্রায় ৭০টি আইএসপি যেভাবে সেবা দিচ্ছে, তেমন একটি সমন্বিত উদ্যোগ অন্যান্য এলাকাতেও নেওয়া হবে। এনটিটিএন পর্যায়ে 'এক দেশ, এক রেট' বাস্তবায়ন, মানসম্মত ও প্রতিযোগিতামূলক ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করবে নতুন কমিটি।

আইএসপিএবির বর্তমান সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, চারজন সাবেক ও বর্তমান সভাপতি একমঞ্চে উপস্থিত থাকা মানে আমরা প্রশাসকের বিপক্ষে। এ কারণেই আমরা নির্বাচন এগিয়ে এনেছি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি এসএম ইকবাল, আব্দুস সালাম এবং প্যানেলের অন্যান্য সদস্যরা—যেমন সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক (আইসিসি), মঈন উদ্দিন আহমেদ (রেড ডাটা), আসাদুজ্জামান সুজন (অন্তরঙ্গ ডট কম), মাহবুব আলম রাজু (সার্কেল নেটওয়ার্ক), নেয়ামুল হক খান (মাজেদা নেটওয়ার্কস), মো. মিঠু হাওলাদার (ইনভেনশন টেকনোলজিস) ও রাশেদুর রহমান রাজন (ওয়ান স্কাই কমিউনিকেশনস)।

প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে সাধারণ সদস্য ক্যাটাগরিতে ২৬৩ এবং সহযোগী সদস্য ক্যাটাগরিতে ৫৯৯ জন ভোটার রয়েছেন। রাজধানীর মিন্টু রোডে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে সাধারণ শ্রেণি থেকে ৯ জন ও সহযোগী শ্রেণি থেকে ৪ জন—মোট ১৩ জন নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হবেন।