News Bangladesh

তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৫:২৮, ২৫ মে ২০২৫

ইন্টারনেট গেম খেলেন বিশ্বের ৮৩ শতাংশ মানুষ

ইন্টারনেট গেম খেলেন বিশ্বের ৮৩ শতাংশ মানুষ

ছবি: ফ্রি পিক

আগের মতো টেলিভিশন কিংবা সিনেমার স্ক্রিনে সীমাবদ্ধ না থেকে মানুষ এখন সময় কাটাচ্ছে হাতে থাকা স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে। আর সেই সময়ের বড় একটি অংশ চলে যাচ্ছে ভিডিও গেম খেলে। গবেষণা বলছে, বর্তমানে বিশ্বের ৮৩ দশমিক ৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কোনো না কোনোভাবে গেম খেলার সঙ্গে জড়িত। 

বর্তমান গেমিং জগতের সবচেয়ে বড় অংশজুড়ে রয়েছে মোবাইল গেম। স্মার্টফোনের সহজলভ্যতা এবং সাশ্রয়ী ইন্টারনেট প্যাকেজ মোবাইল গেমিংয়ের বিস্তার ঘটিয়েছে দ্রুত। শুধু তরুণ প্রজন্মই নয়, গৃহিণী, শিক্ষার্থী এমনকি বয়স্করাও সময় কাটানোর জন্য মোবাইল গেমের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বজুড়ে গেমারের সংখ্যা ৩৩২ কোটিতে পৌঁছাবে। অর্থাৎ প্রতি তিনজন মানুষের মধ্যে একজন ভিডিও গেমের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবেন।

বিশ্ব গেমিং মানচিত্রে সবচেয়ে বড় অংশীদার এখন এশিয়া। এখানকার গেমারের সংখ্যা প্রায় ১৪৮ কোটি, যা পুরো বিশ্বের মোট গেমারের প্রায় অর্ধেক। চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মতো দেশগুলো গেমিং শিল্পে বিপ্লব এনেছে। মোবাইল গেমিং, অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার গেম এবং ই-স্পোর্টসে এই অঞ্চলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

’যুক্তরাষ্ট্রে না বানালে অ্যাপলকে ২৫% শুল্ক দিতে হবে: ট্রাম্প

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইউরোপ, যেখানে প্রায় ৪৫ কোটি গেমার রয়েছে। ইউরোপীয় দেশগুলোতে গেমিং প্রযুক্তি এবং উন্নত নেটওয়ার্কের কারণে গেম খেলার অভিজ্ঞতা আরও উন্নত। তৃতীয় অবস্থানে লাতিন আমেরিকা, যেখানে গেমারদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।

গেমিং শুধু একটি শখ নয়—এটি এখন একটি বহু বিলিয়ন ডলারের শিল্প। ২০২৫ সালের মধ্যে গেমিং ইন্ডাস্ট্রির আকার ৩৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। এতে গেম ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার কোম্পানি, স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম, গ্যাজেট নির্মাতা এবং বিজ্ঞাপনদাতারা বিশাল আকারে জড়িত।

গেমিং যেমন মানসিক শিথিলতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ও প্রতিক্রিয়া ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, তেমনি অতিরিক্ত আসক্তি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারসাম্য বজায় রেখে গেম খেলা উচিত। 

আজকের বিশ্বে গেমিং একটি নতুন ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ তৈরি করেছে। এটি একদিকে যেমন তরুণদের জন্য প্রযুক্তি ও সৃজনশীলতার সুযোগ এনে দিচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে একটি বিশাল বাজার ও কর্মসংস্থান তৈরি করছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়