বুবলী-সজলের শুটিংয়ে বন্য হাতির হানা

নতুন সিনেমা ‘শাপলা শালুক’-এর শুটিংকে ঘিরে শেরপুরের গারো পাহাড় এখন যেন সরগরম এক চলচ্চিত্র ভুবন। চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী ও অভিনেতা আব্দুন নূর সজল এই সিনেমায় জুটি বেঁধে হাজির হচ্ছেন এক অ্যাকশন-রোম্যান্টিক গল্পে। তবে সিনেমার দৃশ্যধারণের পাশাপাশি পুরো টিমকে মুখোমুখি হতে হচ্ছে এক ভিন্নধর্মী বাস্তব অভিজ্ঞতার— বন্যহাতির হানা।

সিনেমার দৃশ্যধারণ চলছে শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ে। চিরসবুজ প্রকৃতি আর পাহাড়ি নির্জনতায় গড়া লোকেশনটি যতটা মনোমুগ্ধকর, ততটাই চ্যালেঞ্জিং নিরাপত্তার দিক থেকে। সম্প্রতি শুটিংয়ের সময় একাধিকবার সেখানে হানা দিয়েছে বন্যহাতির দল।

সজল জানান, আমরা টানা ৯ দিন ধরে গারো পাহাড়ে শুটিং করছি। প্রায় প্রতিদিনই হাতির উপদ্রব থাকছে। ২৭ মে আমাদের সেটে একসঙ্গে ৮/৯টি হাতি আক্রমণ করেছিল। আমরা সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি, তবে কোনোভাবে সরঞ্জাম এবং টিমকে নিরাপদে সরিয়ে ফেলতে পেরেছি। বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। 

আরও পড়ুন: জুজুর ভয়ে যেখানে সবাই চুপ, সেখানে স্পষ্ট বাঁধন

বুবলী বলেন, নালিতাবাড়ীর এই গারো পাহাড়ে এবারই প্রথম শুটিং করছি। অসাধারণ একটি জায়গা। পুরো পাহাড়ঘেরা এই পরিবেশ যেন ছবির গল্পকেই প্রাণ দিচ্ছে। সিনেমাপ্রেমীরা এই লোকেশন দেখে মুগ্ধ হবেন। তবে তার চোখে প্রকৃতির সৌন্দর্য যেমন অপূর্ব, তেমনি বন্যপ্রাণীর উপস্থিতিও ভয়ংকর বাস্তবতা।

সজল সিনেমায় ‘পরাণ’ নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন। চরিত্রটি সম্পর্কে খুব বেশি না বললেও তিনি জানিয়েছেন, এটি একেবারেই সাধারণ ধারার বাইরের একটি চরিত্র। সিনেমার প্রতিটি চরিত্রই চ্যালেঞ্জিং। তার চরিত্রে অ্যাকশন দৃশ্য রয়েছে, যেগুলোর জন্য তাকে ১০-১৫ দিন রিহার্সেল করতে হয়েছে।

অন্যদিকে, বুবলী বলেন, আমি সবসময় এমন চরিত্র বেছে নিই, যেগুলোর মাধ্যমে নিজেকে নতুনভাবে তুলে ধরতে পারি। ‘শাপলা শালুক’-এ আমার চরিত্রটি এমনই ভিন্নধর্মী। এর আগে এমন চরিত্রে কাজ করিনি।

পরিচালক লাজুক জানান, ‘শাপলা শালুক’ একটি অ্যাকশন-রোম্যান্টিক এবং বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমা। কিছুটা ক্লাসিক টোনও থাকছে এতে। দর্শকদের ভিজ্যুয়াল ও গল্পে পূর্ণ বিনোদন দেওয়ার জন্য গারো পাহাড়ের মনোরম লোকেশনকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

সজল-বুবলী ছাড়াও এই সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন সুমন আনোয়ার, আয়মান শিমলা, দিলরুবা দোয়েল, রফিকুল রুবেল, বাপ্পী প্রমুখ।