শাকিব খান ও সন্তানের ছবিতে ফেসবুক মাতালেন অপু-বুবলী

ঢাকাই চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খান শুধু রূপালি পর্দার নয়, বরং দুই জনপ্রিয় নায়িকা—অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর—সামাজিক মাধ্যমেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। 

মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম যেন পরিণত হয় এক আবেগঘন পারিবারিক অনুভূতির মঞ্চে। তবে সেই আবেগের মধ্যেও অনেকে দেখতে পান এক নিঃশব্দ প্রতিযোগিতা।

দুপুর ২টা ৫৪ মিনিটে চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী তার একমাত্র সন্তান শেহজাদ খান বীর ও শাকিব খানের পাঁচটি ছবি শেয়ার করেন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে। ছবিগুলোতে দেখা যায়, শাকিব খান বাবা হিসেবে ছেলেকে আদর করছেন, কখনো কোলে নিচ্ছেন, কখনো চুমু দিচ্ছেন। 

ক্যাপশনে বুবলী লেখেন, পরিবার। যেখানে জীবন শুরু এবং ভালোবাসার যেখানে শেষ নেই।

বুবলীর এই পোস্ট ঘিরে যেমন বাহবা পেয়েছে, তেমনি কিছু নেটিজেন এটিকে ‘পরিকল্পিত সময় বেছে নেওয়া প্রদর্শনী’ বলেও ব্যাখ্যা করেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন, “এমন মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করার দরকার কতটা?”

বুবলীর পোস্টের এক ঘণ্টা পর, বিকেল ৩টা ৪৯ মিনিটে অপু বিশ্বাস নিজের ফেসবুকে ছেলেকে নিয়ে তিনটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, শাকিব খান ঘুমিয়ে রয়েছেন ছেলে আব্রাম খান জয়ের পাশে। 

ছবিগুলোর ক্যাপশনে অপু লেখেন, ‘বাবা’ এমন একটি শব্দ, যার সাথে সন্তানের বন্ধন কথায় কথায় প্রমাণ দেওয়ার কিছুই নেই। তা-ও বাবা-ছেলের প্রতিদিনের এই খুনসুটি আর মমত্ববোধ চলতেই থাকবে, আর মুহূর্তগুলো ফ্রেমে আটকে থাকবে। 

আরও পড়ুন: টগরের গানে নেচে ঝড় তুললেন আদর-পূজা

অপুর এই পোস্টেও জোয়ারে ভেসেছে ভালোবাসার প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ ভালোবাসার প্রতীক দিয়ে মন্তব্য করেছেন, আবার কেউ লিখেছেন, একই দিনে দুই পক্ষের পোস্ট প্রতিযোগিতা মনে হচ্ছে।

সময়ের এমন মিল এবং ক্যাপশনের আবেগঘন উপমা—সমস্তকিছুকে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে, এটা কি নিছক কাকতালীয়, নাকি সূক্ষ্ম ইঙ্গিতপূর্ণ ভার্চুয়াল প্রতিযোগিতা? 

কেউ বলছেন, সন্তানদের সঙ্গে শাকিবের সম্পর্কের এই দৃষ্টান্তমূলক রূপ আমাদের নতুনভাবে ভাবতে শেখায় বাবা-সন্তানের বন্ধন নিয়ে। 

আবার কেউ খোঁচা দিয়ে লিখেছেন, আপু এত দেরি করলেন কেন?

অপু বিশ্বাসের পোস্টে মন্তব্য করেছেন চিত্রনায়িকা তমা মির্জাও। তিনটি লাল হৃদয়ের ইমোজি দিয়ে তিনি তার সমর্থন জানান। 

আবার সাধারণ ভক্তরা লিখেছেন, মাশাল্লাহ, বাবা-ছেলের এই সম্পর্ক সারাজীবন অটুট থাকুক।

শাকিব খান নিজে এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও, স্পষ্টতই দুই সন্তানের মমতাময় মুহূর্ত তাকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই আলোচনার কেন্দ্রে যেমন সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা, তেমনি রয়েছে অতীত সম্পর্কের না বলা কথা, অনুভব, ও ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত।

একদিনে একই বিষয় নিয়ে দুই প্রাক্তন স্ত্রী—অপু ও বুবলীর—পোস্ট ঘিরে আলোচনার ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে। একদিকে আছে বাবা-সন্তানের অকৃত্রিম ভালোবাসার ফ্রেমবন্দি, অন্যদিকে সমাজের চোখে দুজনের ‘সামাজিক অবস্থান নিশ্চিতকরণ’ প্রচেষ্টা।