News Bangladesh

কৃষি ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২০:২৬, ৯ মে ২০২৫

মাঠজুড়ে বোরো ধানের ঘ্রাণে উচ্ছ্বসিত রংপুরের কৃষকরা

মাঠজুড়ে বোরো ধানের ঘ্রাণে উচ্ছ্বসিত রংপুরের কৃষকরা

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর অঞ্চলে চলতি বোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়েছে সোনালী ধানের মিষ্টি ঘ্রাণ। কৃষক-কৃষাণীদের মুখে হাসি, মাঠে বইছে ধান কাটার ব্যস্ততা।

চলতি মৌসুমে রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ। বাস্তবে তা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৫ লাখ ৯ হাজার ৫৬ হেক্টরে। প্রতি হেক্টরে গড় উৎপাদন ধরা হয়েছে ৪ দশমিক ৫ মেট্রিক টন। সেই হিসেবে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২ লাখ মেট্রিকটন এবং ধান উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে ৩৫ লাখ মেট্রিকটন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ১৫ শতাংশ ধান কাটা-মাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে আরও ১৫ শতাংশ ধান কৃষকের গোলায় উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে,  শ্রমিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। দিন হাজিরায় ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা দিলেও অনেক স্থানে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কৃষি শ্রমিকদের চাহিদা তুঙ্গে। রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট জেলায় প্রায় ৫২ লাখ মৌসুমি কৃষি শ্রমিক রয়েছেন। তারা মূলত আমন ও বোরো মৌসুমে ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ করেন। অন্য সময়ে তারা শহরে রিকশা, ভ্যান চালানোসহ বিভিন্ন পেশায় যুক্ত থাকেন।

মিঠাপুকুরের কৃষক আশরাফুল ও গৌরাঙ্গ রায় জানান, বাজারে বোরো ধান এক হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে, কোথাও কোথাও আরও বেশি দামে। তবে ধান কাটার খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। ৫ বছর আগেও এক একর জমির ধান কাটতে যেখানে দেড় হাজার টাকা লাগত, এখন খরচ হচ্ছে প্রায় ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন: রাজশাহীতে গুটি আম পাড়া শুরু ১৫ মে

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, “আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো আবাদের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতিমধ্যে ১৫ শতাংশ ধান ঘরে তোলা হয়েছে।”

এ বছর বোরো মৌসুমে ধান কাটা-মাড়াই করে কৃষি শ্রমিকদের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়