নিউজিল্যান্ড সফরে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া

আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ফলে এখন থেকেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দিকেই বেশি নজর দিচ্ছে দলগুলো। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিউজিল্যান্ড সফর শুরু হয়েছে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে। যে সিরিজে প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরেছে সফরকারি দল।
সোমবার ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচটি তারা হেরেছে ৫৩ রানের বড় ব্যবধানে। ব্যাটিংয়ে শুরুটা দুই দলের ছিল প্রায় একইরকম। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কুড়ি ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৪ রানের পুঁজি দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড। 
দলকে শুরুর ধ্বংসস্তুপ থেকে টেনে তোলার নায়ক ডেভন কনওয়ে। মাত্র এক রানের সেঞ্চুরি পাননি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান, ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৯৯ রানে। ডেভন উইকেটে আসেন ১১ রানে দলের দ্বিতীয় উইকেট পতনের। খানিক পর দলীয় সংগ্রহ ১৯ রানে পৌঁছতে সাজঘরে ফিরে যান অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও। তৃতীয় উইকেটে গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে ৭৪ রান যোগ করেন ডেভন। এ জুটিতে ফিলিপসের অবদান ছিল ২০ বলে ৩০ রান।
দলীয় সংগ্রহ একশ হওয়ার আগেই ফিলিপস ফিরে যান। কিন্তু অবিচল থাকেন মাত্র পঞ্চম আন্তর্জাতিক ইনিংসে ব্যাট করতে ডেভন। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এ বাঁহাতি নিজের ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন ৩৬ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ের মারে। এরপর আরও চওড়া হয় তার ব্যাট। তবু শেষপর্যন্ত মাত্র ১ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকে।
কিউই ইনিংসে শেষ ওভারের আগে ডেভন অপরাজিত ছিলেন ৮৭ রানে। কেন রিচার্ডসনের সেই ওভারে ৪টি বল মোকাবিলা করেন ডেভন। যেখানে একটি করে চার-ছয়ের মারে নিতে পারেন ১২ রান। শেষ বলে যখন সেঞ্চুরি থেকে দুই রান দূরে তিনি, তখন এক রান নিতে সক্ষম হন, ফলে ইনিংস থামে ঠিক ৯৯ রানে।
জবাবে ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ট্রেন্ট বোল্ট আর টিম সাউদির তোপে ১৯ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে পড়ে অসিরা। পরে আর লড়াইয়ে ফিরতে পারেনি। মিচেল মার্শ কিছুটা চেষ্টা করলেও ৩৩ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে তিনি যখন সাজঘরে ফিরছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার রান একশও নিচে (৯৮/৬)। শেষ পর্যন্ত ১৫ বাকি থাকতে অসিদের ইনিংস থেমেছে ১৩১ রানে।
স্বাগতিকদের হয়ে স্পিনার ইশ সোধি ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট শিকার করে সাউদি-বোল্ট জুটিই অসিদের ব্যাটিং মেরুদণ্ডটা ভেঙে দিয়েছিলেন।