News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:৫৪, ১৫ জুন ২০২৫

পাচার অর্থ ফেরাতে ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ: প্রধান উপদেষ্টা

পাচার অর্থ ফেরাতে ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অর্থ পুনরুদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ লক্ষ্যে ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে ১৩ জুন ২০২৫ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস জানান, এই প্রচেষ্টায় ব্রিটিশ সরকার অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। তারা যে দ্রুততা ও আন্তরিকতা দেখিয়েছে, তার জন্য আমি আন্তরিক প্রশংসা করি।

তিনি বলেন, অর্থ উদ্ধারে ব্রিটিশ আইনি কাঠামো অনুযায়ী একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ শুরু করেছে।

বিবিসির অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ সমন্বয় কেন্দ্র (ISICC) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতার উপায় খুঁজছে। বিশেষ করে ২০০৯-২০২৫ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সংঘটিত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে এই উদ্যোগ গতি পেয়েছে।

তবে এনসিএর এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রকৃতি সম্পর্কে সাধারণত মন্তব্য করি না। যদি কোনো তদন্ত শুরু হয়ে থাকে বা কোনো অংশীদার তদন্তে সহায়তা করে—তাও নিশ্চিত করি না।

বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ১৭৪ বিলিয়ন পাউন্ড) দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে।

অভিযোগ: এই বিপুল অর্থের বড় একটি অংশ যুক্তরাজ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছে কিংবা খরচ করা হয়েছে। এই বিষয়ে সরাসরি তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপে কাজ করছে ব্রিটিশ আইনজীবীদের একটি দল।

আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

চারদিনের সফরে (১০-১৪ জুন ২০২৫) অধ্যাপক ইউনূস যুক্তরাজ্যের উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।

১১ জুন ২০২৫: অধ্যাপক ইউনূস বাকিংহাম প্যালেসে কিং চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

১২ জুন ২০২৫: তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাণিজ্য সচিব জনাথন রেনল্ডস-এর সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।

রেনল্ডস পরে এক্স (টুইটার)-এ এক বার্তায় লেখেন, আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পারস্পরিক সমৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেছি।

অধ্যাপক ইউনূস ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি। স্টারমার হচ্ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রতিবেশী।

তিনি বিবিসিকে বলেন, আমি জানি না আমার হতাশ হওয়া উচিত, না দুঃখিত হওয়া উচিত। এটি একটি হারানো সুযোগ।

বৈঠক না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখনো কোনো ব্যাখ্যা পাইনি। সম্ভবত তিনি অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত ছিলেন।

চারদিনের সফর শেষে অধ্যাপক ইউনূস ১৪ জুন শনিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছান।

এই সফরকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়