রূপপুর থেকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ সঞ্চালনে মাইলফলক

ছবি: সংগৃহীত
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালনের পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করেছে ‘পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)’।
সোমবার (২ জুন) দুপুর ৩টা ৩২ মিনিটে ‘রূপপুর-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ সফলভাবে চালু হওয়ার মাধ্যমে এই গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জিত হয়।
পিজিসিবি থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, এই লাইনটি চালু হওয়ায় দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্তির জন্য যে অবকাঠামো প্রয়োজন ছিল, তা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হয়েছে। এর ফলে রূপপুর প্রকল্পের প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদনে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে।
প্রায় ১৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রূপপুর-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনে রয়েছে ৪১৪টি টাওয়ার। এটি ছাড়াও রূপপুর কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ‘ফিজিক্যাল স্টার্টআপ’-এর প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আরও দুটি হাইভোল্টেজ সঞ্চালন লাইন এর আগেই চালু করা হয়েছিল। এগুলো হলো — ২০২২ সালের ৩০ জুন চালু হওয়া ‘রূপপুর-বাঘাবাড়ি ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ এবং ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল চালু হওয়া ‘রূপপুর-বগুড়া ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন’।
আরও পড়ুন: বিভক্তির জন্য নয়, ঐক্যের জন্যই রাজনীতি: প্রধান উপদেষ্টা
এই তিনটি লাইনের প্রতিটির সঞ্চালন ক্ষমতা ২ হাজার মেগাওয়াট, অর্থাৎ মোট ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরিবহনের অবকাঠামো প্রস্তুত হয়েছে। ফলে রূপপুর কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে এখন আর কোনো প্রযুক্তিগত বাধা রইল না।
পিজিসিবি’র ভাষ্য মতে, এটি শুধুমাত্র একটি প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নয়, বরং দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও টেকসই বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে একটি কৌশলগত সাফল্য। পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত নির্ভরযোগ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ সঞ্চালনের এই প্রস্তুতি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতকে আরও স্থিতিশীল ও স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ খাতে দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির এই অগ্রগতি সম্পর্কে পিজিসিবি জানায়, রূপপুর প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের অবকাঠামো প্রস্তুত হওয়া একটি জাতীয় অর্জন, যা বাংলাদেশকে পরমাণু শক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাস্তব প্রয়োগের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে দিলো।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি