ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টিতে ভূমিধ্বস, ৩৪ জনের মৃত্যু

ছবি: এনডিটিভি
ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, ত্রিপুরা, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ ও মিজোরামে গত তিন দিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাতে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে, এতে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আসাম প্রদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শিলচরে জুনের প্রথমদিনের ২৪ ঘণ্টায় ৪১৫ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এটি ১৮৯৩ সালের পর থেকে একদিনে হওয়া সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।
রবিবারের এ বৃষ্টিতে শিলচরের ১৩২ বছরের পুরনো ২৯০ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ভেঙে গেছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, উচ্চ-বায়ুমণ্ডলীয় ঘূর্ণবাতীয় প্রবাহ ও নিম্ন-স্তরের ট্রফের একটি সংমিশ্রণ অস্থির আবহাওয়া ধরণটিকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। উত্তর প্রদেশ থেকে বিস্তৃত হওয়া একটি ট্রফের সঙ্গে সম্পর্কিত আবহাওয়ার একটি বিশেষ তীব্র অঞ্চল আসামের মধ্যাঞ্চল থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৭
২০২২ সালে বরাক নদীর বেথকুন্ডি বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পরে এক কিলোমিটার দূরের শিলচরে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। ওই সময় শহরটির ৯০ ভাগ অংশ পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল।
ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, ত্রিপুরা, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ ও মিজোরামে গত তিন দিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাতে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে, এতে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ৩১ মে মিজোরামে স্বাভাবিক গড়ের চেয়ে ১১০২ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
২৮ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত পাঁচ দিনে মেঘালয়ে অতি ভারি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রাজ্যটির বেশ কয়েকটি জেলায় উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্তের নিকটবর্তী চেরাপুঞ্জি নামে পরিচিত সোহরায় ক্রমবর্ধমানভাবে মোট ৭৯৬ মিলিমিটার এবং মাউসিনরামে ৭৭৪ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
মেঘালয়ের ১০টি জেলা আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ত্রিপুরায় আকস্মিক বন্যায় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মণিপুরে উপচে পড়া নদীর পানিতে ও বাঁধ ভেঙে দেখা দেওয়া বন্যায় ৩৩৬৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষ।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি