মস্তিষ্কে চিপ বসানোর পথে নিউরালিংক, পেল ৬৫০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল

ছবি: ইন্টারনেট
মানুষের চিন্তা শক্তিকে যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত করার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান নিউরালিংক এখন পরীক্ষামূলক ধাপে প্রবেশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি ৬৫০ মিলিয়ন ডলার নতুন তহবিল সংগ্রহ করেছে।
নিউরালিংকের দাবি, এ প্রযুক্তির মাধ্যমে চলাফেরায় অক্ষম (প্যারালাইজড) ব্যক্তিরা শুধুমাত্র ভাবনার মাধ্যমে কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রসহ তিনটি দেশে এ পরীক্ষা চলছে। ইতোমধ্যে পাঁচজন পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীকে নিয়ে এই ডিভাইসের কার্যকারিতা পরীক্ষা চলছে।
নিউরালিংকের তৈরি ডিভাইসটি ছোট একটি চিপ যা মস্তিষ্ক থেকে আসা স্নায়ু সংকেত (neural signals) সংগ্রহ করে তা মোবাইল বা কম্পিউটারে পাঠাতে পারে। এর ফলে ব্যবহারকারী শারীরিক স্পর্শ ছাড়াই ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন।
গত মাসে নিউরালিংক তাদের মস্তিষ্কের মাধ্যমে কথা বলার ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার ডিভাইসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (FDA) কাছ থেকে ‘ব্রেকথ্রু’ বা বিশেষ অগ্রাধিকার সনদ পায়। এর আগে, দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনার ডিভাইসের ক্ষেত্রেও তারা একই স্বীকৃতি পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: ছোট ও মাঝারি আইএসপিদের জন্য বাজেটে কোনও সুখবর নেই
নিউরালিংকের মতে, এই তহবিল প্রতিষ্ঠানটিকে আরো বেশি মানুষের কাছে প্রযুক্তিটি পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে এবং ভবিষ্যতের চিকিৎসাক্ষেত্রে বড় ধরণের পরিবর্তন এনে দিতে পারে।
নতুন অর্থায়নে অংশ নিয়েছে বেশ কয়েকটি বড় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান, যেমন: ARK Invest, Founders Fund, Thrive Capital, Sequoia Capital, Lightspeed ইত্যাদি। এর আগে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছিল এবং তখন নিউরালিংকের মূল্যায়ন ছিল প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে, ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টার দায়িত্ব থেকে সরে এসে এখন আবার পুরোপুরি তার কোম্পানিগুলো— টেসলা, স্পেসএক্স, নিউরালিংক, এক্সআই এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স–এ মনোযোগ দিচ্ছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নিউরালিংকের এই পদক্ষেপ মানব স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যাচ্ছে যেখানে শুধু ভাবনার জোরেই কাজ করবে যন্ত্র।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি