News Bangladesh

তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:১৪, ৪ জুন ২০২৫
আপডেট: ১২:৪৮, ৪ জুন ২০২৫

যেভাবে স্ক্যাম মেসেজ চিনবেন

যেভাবে স্ক্যাম মেসেজ চিনবেন

প্রতীকী ছবি

বর্তমান ডিজিটাল যুগে প্রতিদিনই আমরা মেসেজ, ই-মেইল কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নানারকম বার্তা পাচ্ছি। অনেক সময় এসব বার্তা বিশ্বাসযোগ্য মনে হলেও এর পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে ভয়ংকর প্রতারণার ফাঁদ- যা পরিচিত ‘স্ক্যাম’ হিসেবে।

একটুখানি অসচেতনতা আপনাকে ফেলতে পারে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে। হারাতে পারেন আপনার ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও। তাই স্ক্যাম মেসেজ চেনা, সচেতন থাকা এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া আজকের সময়ে অত্যন্ত জরুরি।

স্ক্যাম মেসেজ চেনার সহজ উপায়-

বানান ও ভাষার ভুল
অনেক স্ক্যাম মেসেজে ভাষার ভুল বা অদ্ভুত গঠন থাকে। যেমন ভুল ইংরেজি বা বাংলা, অস্বাভাবিক বাক্যগঠন ইত্যাদি-এগুলো স্ক্যাম মেসেজের সাধারণ বৈশিষ্ট্য।

অজানা প্রেরক
যদি আপনি এমন কারো কাছ থেকে মেসেজ পান যাকে আপনি চেনেন না বা যার নাম/নাম্বার অপরিচিত, তাহলে তা সতর্কভাবে যাচাই করুন। স্ক্যামাররা প্রায়ই অজানা নাম্বার বা ইমেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করে।

অতিরিক্ত প্রলোভন
আপনি লটারি জিতেছেন!, আপনার জন্য ফ্রি পুরস্কার!, এসব মেসেজে অবিশ্বাস্য অফার থাকে যা বাস্তবে অসম্ভব। এ ধরনের প্রলোভন দেখলে সাবধান হোন।

লিংকে ক্লিক করার অনুরোধ
মেসেজে দেওয়া লিংকটি নিরাপদ কি না তা যাচাই না করে কখনই ক্লিক করবেন না। অনেক সময় ভুয়া ওয়েবসাইটে নিয়ে গিয়ে আপনার তথ্য চুরি করা হয়।

ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া
স্ক্যাম মেসেজে সাধারণত জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, পাসওয়ার্ড, ওটিপি ইত্যাদি চাওয়া হয়। প্রকৃত প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক এ ধরনের তথ্য কখনো মেসেজে চায় না।

আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ -২০২৫ এর খসড়া চূড়ান্ত 

তাড়াহুড়োর চাপ
স্ক্যামাররা আপনাকে চাপ দেবে, যেন আপনি সঙ্গে সঙ্গেই সিদ্ধান্ত নেন। যেমন- আজকেই রেজিস্ট্রেশন করুন, তৎক্ষণাৎ টাকা পাঠান না হলে অ্যাকাউন্ট ব্লক হবে ইত্যাদি। এই তাড়াহুড়োর মাঝে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঝুঁকি থাকে।

অফিসিয়াল নম্বর বা ইমেইল নয়
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের অফিসিয়াল নম্বর বা ভেরিফায়েড ই-মেইল ব্যবহার করে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান পরিচয়ে কেউ ব্যক্তিগত নম্বর থেকে বার্তা পাঠায়, সেটি সন্দেহজনক।

স্ক্যাম মেসেজ পেলে যা করবেন
মেসেজটি এড়িয়ে যান, উত্তর দেবেন না। লিংকে ক্লিক করবেন না, কোনো ফাইল ডাউনলোড করবেন না। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করে যাচাই করুন। বাংলাদেশে আপনি বিটিআরসি বা সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ করতে পারেন।

স্ক্যাম মেসেজ থেকে বাঁচতে হলে সচেতনতা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। যে কোনো অজানা বার্তার ব্যাপারে সন্দেহ হলে আগে যাচাই করুন, পরে বিশ্বাস করুন। প্রযুক্তি আমাদের সুবিধা দিলেও, সতর্ক না থাকলে সেটি হতে পারে বিপদের কারণ।
 

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়