News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:২১, ৫ আগস্ট ২০১৫
আপডেট: ১৯:৪৯, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

‘নিজেই তো আয় করেন, খোরপোশ চান কেন?’

‘নিজেই তো আয় করেন, খোরপোশ চান কেন?’

স্বামীর কাছে ভরণ পোষণের ভাতা দাবি করে মামলা ঠুকে দিয়েছিলেন তিনি। সবাই প্রায় নিশ্চিত ছিল যে আদালতের রায় স্ত্রীর পক্ষেই যাবে। কারণ এধরণের মামলার পরিণতি এমনই হয়ে থাকে।

কিন্তু আদালত তার রায়ে যা বললেন তাতে অনেকেরই চোখ কপালে উঠে যাওয়ার দশা।

ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লির একটি আদালত মামলার রায়ে বলেন, বর্তমান সময়ে নারীদের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা আশা করে পরিবারগুলো এবং তারা বেকার বসে থাকবে ঘরে- সেটাও আশা করা হয় না।

মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট মোনা টারডি মামলাটি খারিজ করে দিয়ে রায় ঘোষণাকালে আরও বলেন, আর্জি পেশকারী নারী নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি বিউটিশিয়ানের কোর্স সম্পন্ন করেছেন। এর অর্থ তার নিজেরই কামাই-রোজগার করার সামর্থ রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি কাজ করতে চান না। আর তিনি কাজ না করার পক্ষে নিজের সিদ্ধান্তের অনুকূলে কোনো যৌক্তিক কারণও দেখাননি।

বিচারক আরও বলেন, আজকালকার নারীদের কাছে এই প্রত্যাশা সবাই করে যে তারা কাজ করে পরিবারে আর্থিক সহযোগিতা করবে। আর তাই অভিযোগকারীর পক্ষে খোরপোষ প্রদানের সিদ্ধান্ত দিতে পারছে না আদালত।

মামলার আর্জিতে ওই নারী জানিয়েছিলেন, তিনি একজন গৃহিনী এবং স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর ভরণ-পোষণের জন্য বাবা-মায়ের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। আর তাই তিনি স্বামীর কাছ থেকে মাসিক মাসোহারা দাবি করেন। আর্জিতে তিনি আরও জানান যে তার স্বামীর মাসিক আয় ৬০ হাজার রুপি।

তবে বিবাদী আদালতে নিজেকে বেকার বলে দাবি করেন। তিনি আদালতে এই প্রমাণপত্রও দাখিল করেন যে তার বিউটিশিয়ান (সাবেক) স্ত্রী একটি বিউটি পার্লারে কাজ করে মাসিক ১৫ হাজার রুপি আয় করেন। এনবিটি।

নিউজবাংলাদেশ.কম/একে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়