News Bangladesh

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:৪৬, ২৫ জুন ২০২৫
আপডেট: ০৮:৪৭, ২৫ জুন ২০২৫

ইরানের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস হয়নি, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার

ইরানের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস হয়নি, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার

ছবি: সংগৃহীত

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় দেশটির পরমাণু কর্মসূচির মূল অংশ ধ্বংস হয়নি বলে প্রাথমিক গোয়েন্দা মূল্যায়নে উঠে এসেছে। এতে ইরান কয়েক মাস পিছিয়েছে মাত্র- এমনটাই দাবি করেছে ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (ডিআইএ)। এই তথ্য সিএনএনকে নিশ্চিত করেছে গোয়েন্দা কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত সাতটি সূত্র।

সূত্র জানায়, হামলার প্রভাব ও ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মূল্যায়ন এখনও চলমান। তবে প্রাথমিকভাবে বলা হচ্ছে, ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত ধ্বংস হয়নি এবং সেন্ট্রিফিউজগুলোর বেশিরভাগই অক্ষত রয়েছে। এমনকি হামলার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ স্থানান্তরও করেছিল ইরান।

ডিআইএ-এর এই মূল্যায়ন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক, যেখানে তিনি দাবি করেছিলেন- ইরানের পরমাণু সুবিধাগুলো 'সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস' হয়ে গেছে। একই সুরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথও বলেছিলেন, ইরানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা 'ধূলিসাৎ' হয়ে গেছে।

তবে হোয়াইট হাউস ডিআইএ-এর এই মূল্যায়নের সমালোচনা করেছে। প্রেস সেক্রেটারি কেরোলাইন লেভিট এক বিবৃতিতে বলেন, 'এই তথাকথিত মূল্যায়ন পুরোপুরি ভুল এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লিক করা হয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হেয় করার জন্য।'

আরও পড়ুন: ইসরায়েলকে সতর্ক করলেন ট্রাম্প

এদিকে, হামলার পর স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ ও মাটির ওপরের কাঠামোর ক্ষতি ছাড়া ভূগর্ভস্থ স্থাপনাগুলোর তেমন ক্ষতি হয়নি বলেও জানায় আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা মিডলবারি ইনস্টিটিউটের অস্ত্র বিশ্লেষক জেফ্রি লুইস।

যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সূত্র বলছে, ইরানের ফোর্দো, নাতানজ ও ইসফাহান- এই তিন কেন্দ্রেই ক্ষয়ক্ষতি ছিল সীমিত, মূলত বিদ্যুৎ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ ইউনিটে। সেন্ট্রিফিউজ, ইউরেনিয়াম সংরক্ষণ ও ভূগর্ভস্থ কাঠামো মূলত অক্ষত রয়েছে।

এ নিয়ে মার্কিন প্রশাসন ও আইনপ্রণেতাদের জন্য নির্ধারিত গোপন ব্রিফিংও হঠাৎ স্থগিত করা হয়েছে। এতে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে হামলার প্রকৃত প্রভাব ও ট্রাম্প প্রশাসনের বিবৃতির মধ্যে ফারাক নিয়ে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়