বিশ্বব্যাপী কমেছে খাদ্যের দাম: এফএও

ফাইল ছবি
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, চলতি বছরের মে মাসে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম গড়ে ০.৮ শতাংশ কমেছে। সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে উদ্ভিজ্জ তেল ও চিনি জাতীয় পণ্যের।
এফএওর খাদ্যমূল্য সূচকের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বড় উপাদান হিসেবে বিবেচিত শস্য ও খাদ্যশস্যের দাম ওই মাসে কমেছে ১.৮ শতাংশ। আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলে ভুট্টার ভালো ফলন এবং গমের বৈশ্বিক চাহিদা কমে যাওয়াকে এর প্রধান কারণ হিসেবে দেখছে সংস্থাটি।
তবে ব্যতিক্রম ছিল চালের বাজারে। ইন্দিকা চালের চাহিদা এবং মার্কিন ডলারের দরপতনের কারণে কিছুটা বেড়েছে চালের দাম। তবে এতে সামগ্রিক সূচকে বড় ধরনের কোনো প্রভাব পড়েনি।
অন্যদিকে, মে মাসে মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। মাংসের দাম বেড়েছে ১.৩ শতাংশ। গরু, খাসি ও শুকরের মাংসের চাহিদা বাড়ায় এমনটা হয়েছে। বিশেষ করে জার্মানিতে পা ও মুখের রোগ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর শুকরের মাংসের বাজারে প্রভাব পড়েছে। তবে বার্ড ফ্লু সংক্রমণের আশঙ্কায় কমেছে মুরগির মাংসের চাহিদা।
দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বেড়েছে ০.৮ শতাংশ। মাখনের উচ্চমূল্যই এর অন্যতম কারণ। বিশেষ করে এশিয়ায় এর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পনির ও গুড়ো দুধের দামও বাড়তে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজ দখলে নিল ইসরায়েল, সাংবাদিকসহ আটক ১৩
এদিকে, সবচেয়ে বড় দরপতন দেখা গেছে উদ্ভিজ্জ তেল ও চিনির দামে। উদ্ভিজ্জ তেলের দাম কমেছে ৩.৭ শতাংশ। যদিও তা এখনো আগের বছরের তুলনায় ১৯.১ শতাংশ বেশি। পাম, সয়াবিন, সূর্যমুখী ও রেপসিড তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় দাম কমেছে বলে জানিয়েছে এফএও।
চিনির দাম কমেছে ২.৬ শতাংশ। খাদ্য ও পানীয় প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে চাহিদা কমে যাওয়া এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতির অনিশ্চয়তাকে এজন্য দায়ী করা হয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি