গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ১০৮

ছবি: সংগৃহীত
মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার মধ্যেও একদিনের জন্যও থেমে থাকেনি ইসরায়েলের সামরিক অভিযান। রবিবার (৯ জুন) দিনভর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিমান হামলায় গাজা উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০৮ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৯৩ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে রবিবার সন্ধ্যায় এতথ্য নিশ্চিত করে।
সোমবার (৯ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। রবিবার পর্যন্ত অভিযানে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৮৮০ জনে। আহত হয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ২২৭ জন।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় গাজা নিয়ন্ত্রিত গোষ্ঠী হামাস। এলোপাতাড়ি গুলিতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়। জবাবে গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ।
দীর্ঘ অভিযানের মধ্যে ২০২৪ সালের ১৯ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক চাপে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। গত ১৮ মার্চ থেকে আবারও শুরু হয় দ্বিতীয় দফার অভিযান। এরপর গত আড়াই মাসে নিহত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৬০৩ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১৪ হাজার ৬৮৬ জন।
আরও পড়ুন: অভিবাসন ইস্যুতে লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ, সেনা মোতায়েন
হামাসের হাতে অপহৃত ২৫১ জনের মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের সামরিক অভিযানের মাধ্যমে মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।
গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল বারবার আহ্বান জানালেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে দিয়েছেন-হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল এবং জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত অভিযান বন্ধ হবে না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি গাজায় ফের দুই মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবনা পেশ করেছে। নেতানিয়াহু এতে সম্মতি দিলেও হামাস এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দেয়নি।
ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)-এ মামলাও দায়ের হয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি