খেলাপি ঋণ বেড়ে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা

ফাইল ছবি
খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র প্রকাশের পর ব্যাংক খাতের বিপর্যয় আরও গভীর হয়েছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে দেশের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা, যা ব্যাংক খাতের মোট বিতরণ করা ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। অথচ তিন মাস আগেও, অর্থাৎ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে এই পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২০ দশমিক ২০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, 'খেলাপি ঋণের কোনো তথ্য গোপন রাখা হবে না। এখন থেকে প্রকৃত চিত্রই প্রকাশ করা হবে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর এ খেলাপি আদায় জোরদারের মাধ্যমে কমিয়ে আনা হবে।'
তিনি আরও জানান, 'নতুন করে বিতরণ করা ঋণ যেন খেলাপিতে পরিণত না হয়, সে জন্য কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গ্রুপ ঋণের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলে নিয়েছে। তাদের অনেকেই এখন বিদেশে পলাতক কিংবা কারাবন্দি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সরকারের ছত্রছায়ায় তারা ঋণ আদায় না করেও নানা কৌশলে নিজেদের ‘নিয়মিত গ্রাহক’ হিসেবে দেখিয়ে আসছিলেন। গত ৫ আগস্টের পর এই ধরনের বিশেষ সুবিধা বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, এখন তাদের প্রকৃত অবস্থান প্রকাশ পাচ্ছে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে শীর্ষস্থানীয় গ্রুপ এস আলম ও বেক্সিমকোর নামও উঠে এসেছে খেলাপির তালিকায়।
আরও পড়ুন: ৫ ব্যাংক মিলে হবে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবে না কর্মীরা
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, দেশের ব্যাংক খাতে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত মোট ঋণ বিতরণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। যেখানে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে মোট ঋণ ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি