১৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল চায় বিএসইসি

পুঁজিবাজার উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল চেয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সম্প্রতি বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়, ২০১১ সাল থেকে পুঁজিবাজারের সার্বিক সূচক ও লেনদেন নিম্নমুখি প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ এর কারণে দেশের পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী তথা আইসিবি, মার্চেন্ট ব্যাংক, স্টক ব্রোকারস ও স্টক ডিলাররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের মূলধনভিত্তি শক্তিশালী করাসহ সার্বিক সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি।
এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠনের অনুরোধ করা হলো। এ তহবিলের ব্যবস্থাপক হিসেবে আইসিবি দায়িত্ব পালন করবে। তহবিলের মধ্যে আইসিবির আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানো ও মূলধন ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে স্বল্প সুদে ৫ হাজার কোটি টাকা এবং মার্চেন্ট ব্যাংক, স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলারের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখিত তহবিলে ৩ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ সুদে ১০ বছর মেয়াদি ঋণ দেবে। এই তহবিল বিনিয়োগের সুদের হার হবে ৪ শতাংশ। যার ১ শতাংশ সিংকিং তহবিলে জমা থাকবে। তহবিলের মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ মার্চেন্ট ব্যাংক, স্টক ব্রোকারস ও স্টক ডিলার কতৃক ইস্যুকৃত করপোরেট বন্ড/ডেট সিকিউরিটিজে (যার কুপন হার হবে ৬ থেকে ৭ শতাংশ) বিনিয়োগ করা হবে। তহবিল গঠন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে তারল্য ও লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালনের পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি পাবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/ডি