ভক্তদের ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন টাইগাররা

দেশজুড়ে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগম্ভীরতায় পালিত হচ্ছে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব—পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির এই দিনটিকে কেন্দ্র করে আনন্দের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সর্বত্র। সেই আনন্দে সামিল হয়েছেন দেশের তারকা ক্রিকেটাররাও।

শনিবার (৭ জুন) এই বিশেষ দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্ত-সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা।

বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক লিটন দাস ফেসবুক পেজে লেখেন, এই ঈদে আপনার জীবনে আসুক আনন্দ, সুস্থতা এবং অফুরন্ত আশীর্বাদ। একতা ও সম্মানের চেতনায় আমরা একসাথে ঈদ উদযাপন করি!

অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ঈদের নামাজ শেষে কাছের মানুষদের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে বলেন, আসসালামু আলাইকুম। তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম (আল্লাহ আমাদের ও আপনাদেরকে কবুল করে নিক)। সবাইকে ঈদ মোবারক।

অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ হৃদয়ছোঁয়া বার্তায় লেখেন, পবিত্র ঈদুল আজহা হোক ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। এই পবিত্র দিনে আমাদের আত্মত্যাগের ক্ষমতা ও ভালোবাসার শক্তি আরও গভীর হোক।

এছাড়াও পেসার শরিফুল ইসলাম সহ আরও অনেক ক্রিকেটার ভক্তদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নিজ নিজ প্ল্যাটফর্মে।

তবে ঈদের আনন্দে মাতলেও পেশাদার প্রতিশ্রুতি ভুলে নেই টাইগাররা। কারণ ঈদের ছুটি শেষে বাংলাদেশ দল ফের ব্যস্ত হয়ে পড়বে আন্তর্জাতিক সিরিজ প্রস্তুতিতে। মাসের শেষদিকে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে দলটি, যেখানে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন ফরম্যাটেই লড়বে দুই দল।

আরও পড়ুন: ঈদের সকালে শাহবাগে জামাল-হামজা-শিপনদের জামাত

২০২৫ সালের শুরুটা একেবারেই প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি বাংলাদেশ দলের জন্য। বছরের শুরুতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ পর্বেই বাদ পড়ে তারা—খেলে মাত্র দুটি ম্যাচ, আর দুটিতেই হেরে বিদায়।

এরপর ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও হতাশা ঘোচেনি। দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র করতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ, যার একটি ম্যাচে পরাজিত হয় টাইগাররা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটা জয়ে হলেও শেষটা হতাশার—প্রথম ম্যাচে জিতলেও বাকি দুটি ম্যাচ হেরে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ খোয়ায় লিটনরা।

সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়ে। ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরে সমর্থকদের হতাশ করেছে টাইগাররা।

এই ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ নিজেকে প্রমাণ করার, এবং তা করতে হবে শ্রীলঙ্কার মাটিতে। প্রস্তুতির সময় অল্প, তবে ঈদের আনন্দ কিছুটা হলেও এনে দিয়েছে মানসিক প্রশান্তি। ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, এই সিরিজ টাইগারদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার মোক্ষম সুযোগ।

বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক ব্যর্থতা নিয়ে হতাশ হলেও ঈদের দিনে সমর্থকদের মুখে আবারও শোনা যাচ্ছে আশাবাদের সুর। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ক্রিকেটারদের ঈদের শুভেচ্ছার জবাবে লিখেছেন, আপনারা মাঠে ভালো করলেই আমাদের ঈদ আরও পরিপূর্ণ হয়।

এখন দেখার পালা, ঈদের পর নতুন উদ্যমে মাঠে ফিরে হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করতে পারে কি না বাংলাদেশ দল।