ঢাকাকেন্দ্রিকতা ভেঙে রাজশাহী-চট্টগ্রামে বিসিবির নতুন দুয়ার

নতুন নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবার ঢাকাকেন্দ্রিকতার গণ্ডি ভেঙে দেশব্যাপী ক্রিকেট উন্নয়নের পথে এগোচ্ছে। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল দায়িত্ব গ্রহণের একদিনের মাথায় বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক করে বিসিবির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা তুলে ধরেছেন। 

এই বৈঠকে বিকেন্দ্রীকরণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, যা দেশের ক্রিকেট অঙ্গনের জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বুলবুলের উপস্থাপিত পরিকল্পনার মূল প্রতিপাদ্য ছিল—ঢাকার বাইরে বিসিবির কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণ, আঞ্চলিক ভিত্তিতে কাঠামোগত উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা। 

তার পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাজশাহী ও চট্টগ্রামে বিসিবির দুটি আঞ্চলিক অফিস স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য রাজশাহীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিসিবি পরিচালক সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরীকে এবং চট্টগ্রামের দায়িত্বে রয়েছেন সালাহউদ্দিন চৌধুরী। 

আরও পড়ুন: বিসিবির নতুন সভাপতি বুলবুল

বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠুর ভাষায়, প্রেসিডেন্ট যেসব বিষয় উপস্থাপন করেছেন, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি কার্যক্রম ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে খেলার চেতনা বজায় রাখা, উচ্চ পারফরম্যান্স নিশ্চিতে সমান সুযোগ, সংযুক্তি ও উন্নয়ন, স্বচ্ছতা এবং সর্বস্তরে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা।

বিসিবির নতুন সভাপতি প্রত্যেক বিভাগীয় প্রধানকে নিজ নিজ পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে বোর্ডের কর্মকাণ্ড আরও কাঠামোবদ্ধ, গতিশীল এবং সমন্বিত হয়। বুলবুলের এমন নেতৃত্ব বোর্ডের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা এবং পরিচালনার পদ্ধতিতেও একটি নতুন ধারা সূচিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এছাড়া কোচ, আম্পায়ার এবং কিউরেটরদের উন্নয়নের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে, যা অচিরেই বাস্তবায়নের পথে হাঁটবে।

প্রথম বৈঠকেই এমন বিস্তৃত পরিকল্পনা এবং তাৎক্ষণিক উদ্যোগ গ্রহণ প্রমাণ করে যে, আমিনুল ইসলাম বুলবুল একটি সুগঠিত ও কার্যকর বোর্ড গঠনের লক্ষ্যে এগোচ্ছেন। 

এখন দেখার বিষয়, তার গৃহীত পদক্ষেপ মাঠপর্যায়ে কতটা প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয় এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে কতটা সফল হয় এই বিকেন্দ্রীকরণ ও সংস্কার অভিযান।