লন্ডনে পৌঁছালেন ডা. জুবাইদা, স্বাগত জানালেন তারেক রহমান

লন্ডনে পৌঁছেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী, দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় এবং জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. জুবাইদা রহমান।
ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষ্যে তিনি বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বেলা ১১টায় কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে লন্ডনের বিমানবন্দরে স্ত্রীকে স্বাগত জানান তারেক রহমান। ফুল দিয়ে স্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর সেই মুহূর্তের ভিডিও বিএনপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়। ভিডিওতে দৃশ্যমান হয় তাদের আন্তরিক সাক্ষাৎ।
বিএনপি’র মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ডা. জুবাইদা রহমান এবার লন্ডনে স্বামী তারেক রহমান ও একমাত্র কন্যা জায়মা রহমানের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন।
বিমানবন্দরে বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম শামসুল ইসলাম শামস, ঢাকা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, তারেক রহমানের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী মিয়া নূর উদ্দিন আহাম্মেদ অপু, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের মনোয়ারুল কাদির বিটুসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা।
এর আগে, দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত ৬ মে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরেছিলেন ডা. জুবাইদা রহমান।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া লন্ডনে চার মাস চিকিৎসা শেষে ওই দিন দেশে ফিরেছিলেন। ডা. জুবাইদা রহমান ছাড়াও তার সঙ্গে ছিলেন কনিষ্ঠ পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, যিনি প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর সহধর্মিণী।
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এক-এগারোর সরকারের আমলে গ্রেফতার ও নির্যাতনের শিকার হয়ে অসুস্থ অবস্থায় সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তারেক রহমান লন্ডনে যান। তখন তার সঙ্গে স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জায়মা রহমানও যুক্তরাজ্যে যান। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয় এবং দেশে ফিরতে বাধা দেওয়া হয় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
একই বছর, ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঢাকার কাফরুল থানায় তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। এ মামলায় ঢাকার একটি আদালত ডা. জুবাইদাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন। তবে ২০২4 সালে গণ-অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ওই সাজা স্থগিত করা হয়। দেশে ফিরে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান এবং বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। শুনানি শেষে উচ্চ আদালত থেকে তিনি খালাস লাভ করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে ডা. জুবাইদা রহমান একজন মেধাবী চিকিৎসক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে মেডিসিনে এমএসসি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন এবং সেখানে রেকর্ড নম্বর ও স্বর্ণপদক অর্জন করেন।
১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় প্রথম হয়ে স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও এর আগে, ১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের একমাত্র কন্যা জায়মা রহমান যুক্তরাজ্যে বার-এট-ল ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং বর্তমানে মা-বাবার সঙ্গে লন্ডনেই বসবাস করছেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি