News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৩:৪৪, ১১ নভেম্বর ২০২০
আপডেট: ১৩:৫৪, ১১ নভেম্বর ২০২০

দেশের সব হাসপাতাল পরিদর্শনে যাচ্ছে সরকার

দেশের সব হাসপাতাল পরিদর্শনে যাচ্ছে সরকার

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানিয়েছেন, সারা দেশে অনুমোদিত এবং অননুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল, ডাগনস্টিক সেন্টারগুলো জরুরি ভিত্তিতে তালিকা চেয়ে সেগুলো পরিদর্শন শুরু করতে যাচ্ছে সরকার।

বুধবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সাথে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক এ কথা বলেন।

গত ৯ অক্টোবর হাসপাতালের কর্মীদের ধস্তাধস্তিতে মারা যাওয়া সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিমের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘যেকোনো মৃত্যু দুঃখজনক, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। আমার একজন পুলিশ অফিসার এভাবে মারা যাবেন এটা কারোরই কাম্য নয়। এ ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত, অনুতপ্ত।’

তিনি বলেন, হাসপাতাল নামে যেটা চলছিল সেটার কোনো অনুমোদন ছিল না। মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক চিকিৎসা, দুটো আলাদা জিনিস, আবার অনেক ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত। তারা বলছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন ছিল, কিন্তু স্বাস্থ্য অধিপ্তর থেকে অনুমোদন ছিল না।’

‘কিন্তু মানসিক চিকিৎসা করতে হলে অবশ্যই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে হবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে এটা বন্ধ করে দিয়েছি,’ বলেন তিনি।

অননুমোদিত হাসপাতালে এরকম মৃত্যু বন্ধে কী উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে জান জানতে চাওয়া হলে মহাপরিচালক বলেন, ‘সবগুলো পরিদর্শন করতে আমরা একটা জরুরি মিটিং করেছি। আমরা একটা কমিটি করেছি। প্রত্যেক এলাকার সিভিল সার্জনদের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে, সাথে প্রশাসন। কারণ, আমরা একা এটা করতে পারবো না, এটার সাথে প্রশাসন লাগবে, পুলিশের সাহায্য লাগবে, আইন প্রয়োগকারী ম্যাজিস্ট্রেটের সাহায্য লাগবে। তাদেরকে নিয়ে আমরা এটা করতে পারব।আশা করছি এ মাসের মধ্যে শুরু করতে পারব।’

মাইন্ড এইডে যাওয়ার আগে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা পাননি, সে জায়গায় দায় আছে কিনা এমন প্রশ্নে মহাপরিচালক বলেন, এ‘টা সম্পর্কে আমার কাছে তথ্য নেই। যদি এটা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই এটা গুরুতর অন্যায় হয়েছে। এটার অবশ্যই বিচার হবে।’

মহাপরিচালক বলেন, লাইসেন্সের বাইরে অনেক হাসপাতাল রয়েছে, ‘এগুলোর হিসাব পেতে গত পরশু দিন ইমার্জেন্সি মিটিংয়ে প্রত্যেক বিভাগীয় পরিচালককে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে (বৃহস্পতিবার) তাদের এলাকার মোট লাইসেন্স এবং আন-লাইসেন্সের লিস্ট আমাদেরকে দেবেন।’

সারা দেশে লাইসেন্সসহ মোট ৬ হাজার ৬৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে হাসপাতাল ২ হাজার ১৩০টি, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৩ হাজার ৮৫৬টি, ব্লাড ব্যাংক ৮১টি।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়