গৃহবধূকে হত্যার পর ২ সন্তান নিয়ে পালালো স্বামী

কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় স্ত্রীকে খুন করে দুই সন্তান নিয়ে পালিয়েছেন তার স্বামী।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে চম্পক নগর গ্রামের মরিচক্ষেত থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূর নাম নাছিমা আক্তার (৩০)। তিনি একই এলাকার জাকির হোসেনের স্ত্রী।
ঘাতক স্বামী জাকির হোসেন ইটাভরা গ্রামের মো. দাদন মিয়ার ছেলে।
স্থানীরা জানান, প্রায় সময়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো; এরপর আবার মিলমিশও হয়ে যেতো।
সকালে নাছিমা আক্তারের মরদেহ চম্পক নগর তার শ্বশুরবাড়ির পাশে মরিচক্ষেতে দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনার পর ১২ বছরে ছেলে বাওয়ান ও আট বছরের এক মেয়ে জাকিয়াকে নিয়ে পালিয়েছে স্বামী জাকির হোসেন।
নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতের বাবা মো. ওহাব আলী বলেন, “আমার মেয়েকে তার স্বামী প্রায়ই নির্যাতন করতো। কয়েক দফা বিচারও হয়েছে। কয়েক দিন আগে তাকে মারধর করলে মেয়ে আমার বাড়িতে চলে আসে।”
তিনি বলেন, “জাকির হোসেন মেয়েকে খুন করার হুমকি দিত। পরে আমার মেয়ে বাদী হয়ে হোমনা থানায় জিডি করে। তিন দিন আগে ক্ষমা চেয়ে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যায় জাকির। আমার মেয়েকে সে খুন করেছে। আমি এর বিচার চাই।”
হোমনা-মেঘনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুল করিম বলেন, “মরদেহ দেখে মনে হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।”
তবে ধারণা করা হচ্ছে, রাতে শ্বাসরোধ করে নাছিমাকে হত্যার পর মরদেহ মরিচক্ষেতে ফেলে রাখা হয়েছে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ