টাকা নিলেও কাজ বুঝিয়ে দেয়নি ভিয়েতনামী প্রতিষ্ঠান

৫১ কোটি টাকা ব্যয় হলেও অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রকল্প তেমন কোনো কাজে আসছে না। এতে চলতি অর্থবছরের বাজেটে ঘোষিত দুই হাজার টাকা কর ছাড়ের সুযোগ নিতে পারছেন না আয়করদাতারা। এমনকি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআরকে সফটওয়ারের কাজও বুঝিয়ে দেয়নি ভিয়েতনামী প্রতিষ্ঠানটি।
স্বয়ংক্রিয় কর ব্যবস্থা চালুর জন্য ২০১১ সালে স্ট্রেনদেনিং গভর্ন্যান্স ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় এনবিআর। প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ ইন্টিগ্রেটেড ট্যাক্স সিস্টেম'র সফটওয়্যার তৈরির কাজ পায় ভিয়েতনামের এফপিটি ইনফরমেশন সিস্টেম। গত তিনবছর সেবা চালু থাকলেও, প্রকল্পের মেয়াদ শেষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআরকে সফটওয়ারের কাজ বুঝিয়ে না দেয়ায় এ বছর অনলাইনে কর দিতে পারছেন না কেউ। করদাতারা মনে করেন, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা গেলে করদাতাদের মধ্যে ইতিবাচক একটি প্রভাব ফেলত।
বাংলাদেশ থেকে বছরে ১শ' কোটি ডলারের বেশি মূল্যের সফটওয়ার রপ্তানি হয়। এ অবস্থায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে এনবিআরের ট্যাক্স রিটার্নের কাজ দেয়াকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন বেসিসের সভাপতি।
সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, ভিয়েতনামের প্রতিষ্ঠানকে দেয়া এ সফটওয়ারের কাজ স্থানীয় উদ্যোক্তারাই করার সক্ষমতা রাখে। দেশীয় অনেক প্রতিষ্ঠানের এরকম বড় বড় অনেক কাজ করার সক্ষমতা রয়েছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠান এ ধরনের কাজ করলে দেশের তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়।
দেশে নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ হলেও, করদাতা মাত্র ২২-২৩ লাখআর কর জিডিপি অনুপাত মাত্র ১০ শতাংশের মত। এ অবস্থায় অনলাইন সেবার দীর্ঘসূত্রিতাকে দায়ী করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদ। দাতা সংস্থার চাপ উপেক্ষা করে হলেও রাষ্ট্রীয় এমন কাজ দেশীয় প্রতিষ্ঠানকেই দেয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আগামী বছর জুনের মধ্যে অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন সিস্টেম আবারো চালু করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বলে জানা গেছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/ডি