নাসিরের বাজে ফিটনেসে ক্ষেপলেন নান্নু

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা নিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। দু’দিনের ফিটনেস পরীক্ষায় ১১৩ ক্রিকেটারের মধ্যে আর একজন ফেল করেছেন। তিনি হলেন, শুভাশীষ রায়। বিপ টেস্টে তিনি পেয়েছেন ৯.৮।
তবে জাতীয় দলের তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বাজে ফিটনেস নাসিরের।ফিটনেস টেস্টে মেরে বসলেন ডাহা ফেল। বিপ টেস্টে পাশ করতে তাকে পেতে হতো ১১ অথচ তিনি কীনা পেলেন মাত্র ৮.৫!
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আয়োজনে দ্বিতীয় দিনের ফিটনেস পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন মিস্টার ফিনিসার খ্যাত নাসির হোসেন। পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি। পাশের জন্য বিপ টেস্টে বেঞ্চ মার্ক ১১ ধরা হয়েছে অথচ তিনি পেয়েছেন ৮.৫!
তার ফিটনেসের বাজে অবস্থায় চটেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। রেগে মেগে তাকে খেলা ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিতে বাধ্য হলেন। এ বিষয়ে নান্নু বলেন, ‘ওর তো খুব খারাপ অবস্থা। ও খেলতে পারবে না। ৮ তো আমিই টেস্ট দিলে পাব। যারা ফেল করছে তাদের আর কোনো পরীক্ষা নেয়া হবে না। দেখেন, ফিটনেস টেস্টে পাশ করতে হলেও অনুশীলন করতে হয়। আপনি এসেই তো আর পাশ করতে পারবেন না তাই না? রাজ্জাক, শাহরিয়ার নাফিস ভালো করেছে এতে ওর শিক্ষা হয়নি? এটা আপনি কী বললেন ৮! নিক লি (ফিজিক্যাল অ্যান্ড স্ট্রেংথেনিং কোচ) দেখে হাসছে। লজ্জাজনক! একজন জাতীয় পর্যায়ের প্লেয়ার, প্রথম শ্রেণির চুক্তিভুক্ত প্লেয়ার, তার ফিটনেস লেভেলে হলো ৮!’
নাসির হোসেন ছাড়ও ফিটনেস টেস্টে ফেল করেছেন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলা সোহাগ গাজীও। পাশ করতে যেখানে ১১ প্রয়োজন সেখানে তিনি পেয়েছেন ৯.৪ তাই তাকে নিয়েও হতাশার ঝরল নান্নুর কণ্ঠে। তিনি বলেন,‘সোহাগ গাজীর কথাই ধরুন না, ওর ফিটনেস লেভেল ৯। যারা ফেল করেছে ওদের নিয়ে আর নতুন করে ভাবার কিছু নেই। দুই বছর হলো ওদের নিয়ে দৌঁড়াচ্ছি। আর সম্ভব না। নিজের ফিটনেস নিজের কাছে। এটা কী আমি আপনি করে দিতে পারব? আপনি যতদিন ফিট থাকবেন খেলবেন, না হলে খেলবেন না। আমার মনে হচ্ছে নাসিরের ক্রিকেট খেলার ইচ্ছেই নেই। আমাকে নিক বলেছে, ওর তো খেলার ইচ্ছেই নাই। সোহাগ গাজীরও একই অবস্থা।’
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/এএস