News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ২৫ অক্টোবর ২০২০
আপডেট: ০২:২৯, ২৮ অক্টোবর ২০২০

সুমনের ভয়ঙ্কর বোলিংয়ে ১৭৩ রানে অলআউট শান্তরা

সুমনের ভয়ঙ্কর বোলিংয়ে ১৭৩ রানে অলআউট শান্তরা

বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপের ফাইনালে রোববার মিরপুরে মুখোমুখি হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একাদশ। উত্তেজনার এই ফাইনালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৭৩ রানে অলঅউট হয়েছে শান্ত একাদশ। ফলে শিরোপা জিততে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের করতে হবে ১৭৪ রান।

মিরপুর শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়াটা যে সঠিক ছিল তা রিয়াদের দলের দুই পেসার রুবেল হোসেন এবং সুমন খান। অন্যদিকে নাজমুল একাদশের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও একমাত্র ইরফান শুক্কুরের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে লড়াকু স্কোর দাঁড় করায় শান্ত একাদশ। শুক্রবারের ৭৭ বলে ৭৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ৪৭.১ ওভারে ১৭৩ রানে অলআউট হয় শান্ত একাদশ। 

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রুবেল হোসেনের তাণ্ডবের সামনে পড়ে শান্তরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই রুবেল হোসেনের বলে মাত্র ৪ রান করে ফিরতে হয় ওপেনার সাইফ হাসানকে। এরপর উইকেটে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তিনি উইকেটে আসার পরেই রিটায়ার হার্ট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন সৌম্য সরকার। সৌম্য রিটায়ার হার্ট হয়ে ফিরলে উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম।

অবশ্য খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি মুশফিক। সুমন খানের প্রথম শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৩৭ বলে মাত্র ১২ রান করেন মুশফিক, দলীয় ৩৫ রানেই ২ উইকেট হারায় শান্ত একাদশ। এরপর আবারও মাঠে ফেরেন সৌম্য, তবে ১৫তম ওভারে দলীয় ৪৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫ রানে সুমন খানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। ৪৩ রানে ৩ উইকেটে হারিয়ে চাপে পড়া শান্তদের চেপে ধরেন সুমন। 

এরপর তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ১৯ রানের জুটি গড়ে দলীয় ৬৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩২ রানে মেহেদি হাসান মিরাজের শিকার হয়ে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মাত্র ৬৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে যখন ধুকছিল ঠিক সে সময়ই ক্রিজে আসেন ইরফান শুক্কুর। হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে দলের বিপর্যয় সামাল দিয়ে গড়েন ৭০ রানের জুটি। ইনিংসের ৩৬তম ওভারে মাহমুদউল্লাহ হৃদয়কে (২৬) তুলে নিলে ভাঙে এই জুটি। এরপরও নিজের দৃঢ় ব্যাটিং ধরে রাখেন শুক্কুর তুলে নেন অর্ধশতক।

উইকেটের অপরপ্রান্তের ব্যাটসম্যানরা যাওয়া আসার মাঝে থাকলেও তিনি ছিলেন দৃঢ়। স্কোরবোর্ডে ১৪৭ রান যোগ হতে ফেরেন নাইম হোসেন (৭), ১৬০ হতে ফেরেন নাসুম আহমেদ (৩) এরপর ১৭১ রানে ব্যক্তিগত ৭৫ রানে শুক্কুর ফিরলে দলীয় সংগ্রহ ২০০ কেবল স্বপ্নই রয়ে যায় শান্ত একাদশের। শেষ উইকেটে তাসকিন এবং আল-আমিন মাত্র ২ রান তুলতেই তাসকিন এবাদত হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরলে ১৭ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় শান্তরা।

পেসার সুমন খান ১০ ওভারে ৩৮ রানে একাই ৫ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া পেসার রুবেল হোসেন নেন একটি উইকেট।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/এএস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়