রুবেল-তাসকিনের টপঅর্ডারের ব্যাটিংয়ে সন্তষ্ট ডমিঙ্গো

করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় সাত মাস দেশের ক্রিকেট বন্ধ ছিল। দীর্ঘ দিন পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট মাঠে ফিরে বল হাতে রাজত্ব করে চলেছেন পেসাররা। চলতি প্রেসিডেন্ট'স কাপে প্রতি ম্যাচেই মুগ্ধ করেছে টাইগারদের পেস বোলাররা। একই সাথে জাতীয় দলের টপঅর্ডারের ব্যাটিংয়ে নিয়ে সন্তষ্ট রাসেল ডমিঙ্গো।
বৃহস্পতিবার বিসিবির এক ভার্চূয়াল সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলের প্রধান কোচ বলেন,‘আমরা গত সাত-আট মাস ধরে কয়েকজন তরুণ ফাস্ট বোলারের সন্ধান করছিলাম। এখন আমরা একটা ফাস্ট বোলারের গ্রুপকে উন্নতি করতে দেখছি যারা প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ হতে পারে। আপনি তাসকিন, ফিজ (মোস্তাফিজ), আল-আমিন, হাসান মাহমুদ, খালেদ, শরিফুলের দিকে তাকান। আমাদের এখন ছয়-সাতজন ফাস্ট বোলার আছেন যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেন। আমি মনে করি গত দুই সপ্তাহ সত্যিই ভালো কিছু বোলিং হয়েছে। যেটা আমার জন্য অনেক বড় ইতিবাচক দিক।’
বিশেষ করে পেসার তাসকিন ও রুবেল হোসেন বোলিং নিয়ে হেড কোচ বলেন, ‘তাসকিনের ফিটনেস দেখুন। রুবেল যেভাবে এগুচ্ছে এবং খালেদ যে কিনা মাত্রই বড় ইনজুরি থেকে ফিরল। ছেলেরা সত্যিই তাদের ফিটনেস নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমরা তাদের স্কিল বাড়াতে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করতে পারে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। তাসকিন যেভাবে নিজেকে পরিবর্তন করেছে সেটা ইতিবাচক। সে অনেক পরিশ্রম করেছে। তার শারীরীক অবস্থা এখন খুব ভালো। সে একটি বা দুটি স্পেলের চেয়েও বেশি বোলিং করতে পারে। এটা আমাদের জন্য আনন্দদায়ক।’
যুব বিশ্বকাপ জেতা দীর্ঘদেহী তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম গত ম্যাচে ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন। এ বিষয়ে ডমিঙ্গো বলন, ‘ঠিক পথেই এগুচ্ছেন শরিফুল, তাকে নিয়ে আরও কাজ করার আছে। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে বল ভেতরে ঢুকাতে শেখাতে হবে তাকে। তার ভালো গতি, বাউন্সার আছে, মনোভাবও দারুণ। সব সময় শিখতে চায়। এগুলো একজন তরুণ ফাস্ট বোলারের জন্য ভালো বৈশিষ্ট্য।’
দীর্ঘ বিরতির পর ব্যটসম্যানদের ব্যাটিং নিয়ে বলেন,‘আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে খেলেরা কিছু ম্যাচ খেলছে। ম্যাচ খেলার চেয়ে বড় অনুশীলন আর নেই। তাছাড়া প্রতিটা ম্যাচই প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে। উইকেটগুলো (রান তোলার ক্ষেত্রে) সহজ ছিল না। আমি মনে করি, সেই কারণেই ব্যাটসম্যানদের সংগ্রাক করতে দেখেছেন। কিছু তরুণ ক্রিকেটার দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। মুশফিকু, রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ), তামিমের মতো কিছু সিনিয়র ক্রিকেটার রান পেয়েছে। মূল বিষয়টা হলো ছেলেরা কিছু প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট ম্যাচ পেয়েছে।’
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/এএস