News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ৬ জুন ২০২৫

চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদ

চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদ

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রামে উদযাপন করা হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা। 

শুক্রবার (৬ জুন) সকাল ৮টায় হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফের ঈদগাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে ইমামতি করেন দরবারের পীর মাওলানা জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানি। একই সময়ে সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়, যার ইমামতি করেন পীরজাদা আরিফ চৌধুরী সাদ্রাভী।

জেলার হাজীগঞ্জ, কচুয়া, শাহরাস্তি, ফরিদগঞ্জ ও মতলব উপজেলার অন্তত অর্ধশত গ্রামের মানুষ আগাম ঈদ উদযাপন করেন। এসব গ্রামে ঈদের জামাত শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

আরও পড়ুন: সৎকর্ম পাপ মোচন করে: হজের খুতবায় শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ

যেসব গ্রামে ঈদ উদযাপন হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপপুর, বাসারা; ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর; মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী; এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা।

এ ধারার সূচনা করেন হাজীগঞ্জের রামচন্দ্রপুর মাদরাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ ও সাদ্রা দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী। ১৯২৮ সালে তিনি সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন শুরু করেন। এরপর থেকে তার অনুসারীরা এই নিয়ম মেনে চলছেন। বর্তমানে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ এই ধারা অনুসরণ করে একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

দরবারের বর্তমান পীর ও অনুসারীরা জানান, তারা শুধুমাত্র সৌদি আরবের অনুসরণ করেন না, বরং কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ঈদের সময় নির্ধারণ করে থাকেন। হজ পালন শেষে সৌদি আরবে কোরবানির দিন অনুযায়ীই তারা ঈদ উদযাপন করেন।

ঈদ উপলক্ষ্যে এসব গ্রামে ইতোমধ্যে কোরবানির পশু ক্রয়সহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়