পবিত্র হজ আজ, ‘লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর আরাফার ময়দান

আজ বৃহস্পতিবার, ৯ জিলহজ, পবিত্র হজের মূল দিন- ইয়াওমুল আরাফাহ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রায় ২৫ লাখ মুসলমান সৌদি আরবের পবিত্র আরাফাতের ময়দানে সমবেত হয়েছেন। এ বছরের হজে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে আগত ৮৭ হাজারের বেশি হজযাত্রী।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালের ফজরের নামাজের পর থেকেই আরাফার প্রান্তর মুখরিত হয়ে উঠেছে তালবিয়ার ধ্বনিতে— "লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক..."। সাদা এহরাম পরিহিত হাজিদের উপস্থিতিতে প্রান্তরজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে পবিত্রতা ও ত্যাগের এক অপূর্ব পরিবেশ। হাজিরা সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করে ইবাদত, জিকির ও দোয়ার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধিতে মগ্ন থাকবেন।

এ বছর আরাফার মসজিদে নামিরায় হজের খুতবা প্রদান করছেন মসজিদে হারামের খতিব ও সৌদি সিনিয়র ওলামা পরিষদের সদস্য ড. শায়খ সালেহ বিন হুমায়েদ। খুতবাটি বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হচ্ছে, বাংলায় অনুবাদ করছেন উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত চার বাংলাদেশি আলেম: ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান, মুবিনুর রহমান ও নাজমুস সাকিব।

আরও পড়ুন: জাতীয় মসজিদে ঈদুল আজহার ৫ জামাত, প্রস্তুত বায়তুল মোকাররম

হজের খুতবার পর হাজিরা আরাফা থেকে মুজদালিফায় রওনা হবেন। সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ একত্রে আদায় করে রাত যাপন করবেন এবং শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের জন্য ৭০টি কঙ্কর সংগ্রহ করবেন। ১০ জিলহজ সকালে তারা মিনার পথে রওনা হবেন। হজের গুরুত্বপূর্ণ চার কাজ সম্পন্ন করবেন: ১. শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, ২. পশু কোরবানি, ৩. মাথা মুণ্ডন বা চুল ছাঁটা, ৪. তাওয়াফে জিয়ারত।

১১ ও ১২ জিলহজ মিনায় অবস্থান করে ধারাবাহিকভাবে তিনটি জামারায় পাথর নিক্ষেপের সুন্নতি আমল করবেন। হজের সমাপ্তি ঘটে বিদায়ি তাওয়াফের মাধ্যমে, যা কাবা শরিফে সাতবার প্রদক্ষিণ।

এদিকে সৌদি আবহাওয়া সংস্থা জানায়, এ বছর হজের সময় মক্কায় গড় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে, ফলে প্রচণ্ড গরমে হাজিরা কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়, অনুমতিপত্র না থাকায় ২ লাখ ৬৯ হাজার মুসল্লিকে মক্কা নগরীতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। হজ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশি দলনেতা ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং ধর্মসচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক বর্তমানে মিনায় অবস্থান করছেন।