News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:২৩, ৮ জুন ২০২৫

ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পে টেকসই অগ্রগতিতে জোর দিচ্ছে সরকার

ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পে টেকসই অগ্রগতিতে জোর দিচ্ছে সরকার

ফাইল ছবি

দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প (এসএমই) খাতের টেকসই বিকাশে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

রবিবার (৮ জুন) বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বিশেষ বাণীতে তিনি এসএমই খাতকে দেশের অর্থনীতির প্রাণ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং এ খাতের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আরও দায়িত্বশীল ও ইতিবাচক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫’ উদযাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) সব অংশীজন এবং সহযোগী সংস্থাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এবারের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন: এমপাওয়ারিং স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ (এসএমই)’ অত্যন্ত সময়োপযোগী ও প্রাসঙ্গিক।

ড. ইউনূসের মতে, দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এসএমই খাত থেকেই আসে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এই খাতের অবদান অনস্বীকার্য। তবে, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ, ক্রেতা ও ভোক্তার পরিবর্তনশীল চাহিদা এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ এসএমই খাতকে পিছিয়ে দিচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তিনি একটি বৈশ্বিক সম্মিলিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। 

আরও পড়ুন: লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান টিউলিপ

তিনি বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে পণ্য ও সেবার প্রতিটি ধাপে মান নিশ্চিত করে। এটি দক্ষ কারিগরি জনবল গঠনে সহায়তা করে, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের পথ সহজ করে এবং বাণিজ্যে কারিগরি বাধা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

ড. ইউনূস আরও জানান, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত তারা বিভিন্ন ল্যাবরেটরি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন সংস্থাসহ মোট ১৫৫টি সরকারি, বেসরকারি এবং বহুজাতিক সংস্থাকে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী অ্যাক্রেডিটেশন সনদ দিয়েছে।

বিশেষ বাণীর মাধ্যমে ড. ইউনূস আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, জুলাই গণআন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসএমই খাতকে আরও গতিশীল, প্রতিযোগিতামূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকেও এ লক্ষ্যে কার্যকর ও ধারাবাহিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫-এ দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্য দেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে সরকারের অঙ্গীকারকে আবারও স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। একই সঙ্গে অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি মানসম্পন্ন, দক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির পথে বাংলাদেশ যে এগিয়ে চলেছে, তা সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়