স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখতে বিশেষ নির্দেশনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

ফাইল ছবি
ঈদুল আজহা উপলক্ষে যখন দেশজুড়ে চলছে উৎসবের আমেজ, ঠিক তখনই নানা দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ছুটছেন অনেক মানুষ। রিকশা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি চালিত যানবাহনসহ নানা পরিবহনে ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটতে গিয়েও আহত হয়েছেন অনেকে। সেই সঙ্গে রয়েছে অন্যান্য অসুস্থতা ও সাধারণ রোগবালাই।
তবে সরকারি ছুটির কারণে বেশিরভাগ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী অনুপস্থিত থাকায় হাসপাতালে এসে চিকিৎসাসেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা। পর্যাপ্ত সেবা না পেয়ে অনেকের ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
চলতি বছর ৫ জুন থেকে ঈদ উপলক্ষে টানা ১০ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসাসেবার ঘাটতি এড়াতে এবং জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান নির্দেশনাগুলো হলো:
১। জরুরি বিভাগে ডিউটিতে চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে, প্রয়োজনে অতিরিক্ত চিকিৎসক নিয়োগ দিতে হবে।
২। লেবার রুম, জরুরি অপারেশন থিয়েটার ও ডায়াগনস্টিক ল্যাব ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে হবে।
৩। ঈদের আগে-পরে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে পর্যাপ্ত জনবল বজায় থাকে।
৪। প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে জনস্বার্থ ও জরুরি সেবার ধারাবাহিকতা বিবেচনায় রেখে ছুটি অনুমোদন করতে হবে।
৫। জেলা পর্যায়ে কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে এবং সিভিল সার্জন বা বিভাগীয় পরিচালকদের আগেই জানাতে হবে।
৬। বিভাগীয় প্রধানদের প্রতিদিনের কার্যক্রম তদারকি করতে হবে এবং এক্স-রে ও ল্যাবসহ গুরুত্বপূর্ণ ডায়াগনস্টিক সেবাসমূহ সচল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ২৬ জন
৭। জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, স্যালাইন, রিএজেন্ট ও সার্জিকাল সরঞ্জামের পর্যাপ্ত মজুত থাকতে হবে।
৮। অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সর্বদা সচল রাখতে হবে।
৯। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বাধ্যতামূলক।
১০। অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার কঠোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
১১। যদি প্রধান কর্মকর্তা ছুটিতে থাকেন, তাহলে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে এবং তার যোগাযোগ তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
১২। ঈদের দিন ভর্তি রোগীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিজেরা উপস্থিত থেকে তা বিতরণ নিশ্চিত করবেন।
১৩। বহির্বিভাগ (ওপিডি) ৭২ ঘণ্টার বেশি বন্ধ রাখা যাবে না — কিছুটা নমনীয়তা রাখা হলেও মূল নিয়মটি বজায় থাকবে।
বেসরকারি হাসপাতালের জন্য নির্দেশনা:
১। নিবন্ধিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ২৪ ঘণ্টা জরুরি ও মাতৃত্বসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
২। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে প্রয়োজনে রেফারকৃত রোগীর জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। কোনো জরুরি অবস্থা বা দুর্ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ডিজিএইচএসকে জানাতে হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি