সচেতনতায় ঈদের রঙ, বর্জ্য অপসারণে দায়িত্বশীল নগরবাসী

ছবি: সংগৃহীত
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পছন্দের পশু কোরবানি করছেন।
শনিবার (৭ জুন) সকাল থেকেই ঈদের নামাজ আদায়ের পরপরই রাজধানীর বাংলামোটর, ধানমণ্ডি, আদাবর, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরাসহ নানা এলাকায় শুরু হয় কোরবানির কার্যক্রম।
পরিবার-পরিজন নিয়ে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পেরে রাজধানীবাসীর মাঝে বিরাজ করছে আনন্দঘন পরিবেশ।
রাজধানীর অনেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, বছরজুড়ে এই দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন তারা। একাধিক জায়গায় কোরবানিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশ, যেখানে পরিবারের সদস্য ছাড়াও প্রতিবেশীরাও একে অপরকে সহযোগিতা করতে দেখা যায়।
এদিকে কোরবানি-পরবর্তী পশুর বর্জ্য ও রক্ত পরিষ্কারে এবার আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতনতা ও উদ্যোগ দেখা গেছে সাধারণ মানুষের মাঝে। রাজধানীর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নির্ধারিত ব্যাগ সরবরাহ করা হলে সেগুলোতে বর্জ্য ভরে নির্ধারিত স্থানে রাখছেন বাসিন্দারা। অনেকেই নিজ উদ্যোগে পানি ছিটিয়ে রাস্তা, ফুটপাত ও বাড়ির সামনের জায়গা পরিষ্কার করছেন। বিশেষ করে তরুণদের অংশগ্রহণও ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন: ঈদের দিন কেমন থাকবে আবহাওয়া?
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের দিন বিকেল ৫টার মধ্যে অধিকাংশ এলাকার বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে এবং রাত ১০টার মধ্যেই সম্পূর্ণ শহরকে বর্জ্যমুক্ত করার লক্ষ্যে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দুই সিটির প্রায় ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও আধুনিক যন্ত্রপাতি (যেমন ভ্যাকুয়াম ট্রাক, বর্জ্যবাহী গাড়ি, সুইপার মেশিন) ব্যবহার করে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আমরা জনগণের সহযোগিতা পেয়েছি। তারা নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেলছেন এবং কোরবানির স্থান পরিষ্কার রাখছেন। আমরা ১২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ঈদুল আজহার কোরবানি শুধু একটি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি সমাজিক সম্প্রীতি, আত্মত্যাগ এবং পরিবেশসচেতনতার প্রকাশও। এবারের ঈদে রাজধানীসহ সারা দেশের মুসলিম জনগণ যে আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে কোরবানি পালন করেছেন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করেছেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। নাগরিক সচেতনতায় সিটি করপোরেশন ও সাধারণ মানুষের সমন্বয় ভবিষ্যতের জন্য একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি