ঈদে ভ্রাতৃত্ববোধের বার্তা সেনা প্রধানের

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল কর্মকর্তা, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার, সৈনিক, অসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং তাদের পরিবারবর্গকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

শুক্রবার (৬ জুন) রাতে সেনাবাহিনীর সদর দফতর থেকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ শুভেচ্ছা বার্তা দেন তিনি। একই সঙ্গে সেনাপ্রধান এক বাণীতেও ঈদের মাহাত্ম্য তুলে ধরেন।

বাণীতে সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, আনন্দঘন ও মহিমান্বিত এই দিনে আমি দেশে-বিদেশে কর্মরত সেনাবাহিনীর সকল স্তরের সদস্য এবং তাদের প্রিয় পরিবারবর্গকে জানাই ঈদুল আজহার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। ঈদ মানেই উৎসব, ঈদ মানেই ত্যাগের শিক্ষা—এই মহান শিক্ষায় উজ্জীবিত হয়ে আমাদের সামরিক জীবন হোক আরও মানবিক, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সেবামূলক।

তিনি আরও বলেন, আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি আমাদের সেই বীর সেনানীদের, যাঁদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে জাতির স্বাধীনতা। স্মরণ করছি তাঁদেরও, যারা দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাস দমন এবং আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা মিশনে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা। 

আরও পড়ুন: ঈদগাহে দেশের মঙ্গল কামনায় প্রধান উপদেষ্টা

সেনাবাহিনী প্রধান তার বাণীতে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় দায়িত্ব পালনরত সেনাসদস্য এবং বিদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিযুক্ত সদস্যদের উল্লেখ করে বলেন, যারা ঈদের এই দিনে পরিবারের সান্নিধ্যে না থেকে দেশের নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক শান্তির দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের প্রতি রইল আমার বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ঈদের শুভেচ্ছা।

তিনি আরও বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহার ত্যাগ ও সাম্যবাদের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক আমাদের সামরিক ও সামাজিক জীবন। সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য ত্যাগের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধে গড়ে তুলুক একটি ঐক্যবদ্ধ ও মানবিক বাহিনী—এই প্রার্থনা করছি সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে।

বিভিন্ন মহলে এই বাণী ইতোমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে, যা সেনাবাহিনীর মূল্যবোধ ও দেশের প্রতি তাদের দায়িত্বশীল মনোভাবের প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।