News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৯:৫৩, ৩ জুন ২০২৫

অধিকার চর্চার সুযোগই বড় সংস্কার: আইন উপদেষ্টা

অধিকার চর্চার সুযোগই বড় সংস্কার: আইন উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

চলতি অন্তর্বর্তী সরকারের আওতায় আশু বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কারের কাজ আগামী আগস্ট মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। 

একইসঙ্গে তিনি বলেন, সাংবিধানিক সংস্কার ও ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে বিচার, প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সংশোধনী) অর্ডিন্যান্স ২০২৫’-এর খসড়ার ওপর এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। 

সভায় দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা, বিচারক, প্রসিকিউটর ও আইনি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন এবং সংশোধিত অর্ডিন্যান্স সম্পর্কে মতামত তুলে ধরেন।

আসিফ নজরুল বলেন, ইতোমধ্যেই সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। আমরা শতাধিক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি, যার মধ্যে বেশ কিছু ইতোমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে। আগস্টের মধ্যেই যেসব সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব, তা সম্পন্ন হবে। যেসব সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন, সেগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মানুষ খোলামেলা মতামত দিতে পারছে—এটাই সবচেয়ে বড় সংস্কার। গত ২০০ বছরে এমন পরিবেশ ছিল না।

আইন উপদেষ্টা জানান, সরকার এমন ব্যবস্থা রাখতে চায় যাতে ভবিষ্যতে কেউ ক্ষমতা কুক্ষিগত করে স্বৈরশাসক হয়ে উঠতে না পারে। 

আরও পড়ুন: চাকরিতে এনআইডি বাধ্যতামূলক করতে চায় ইসি

তিনি বলেন, কোনো শাসক যেন ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে না পারে, সে জন্য বিচারব্যবস্থা সংস্কার করা হয়েছে। সরকার ছাড়ার আগে আমরা এমন আইন নিশ্চিত করতে চাই, যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর ক্ষমতায় চেপে বসতে না পারে।

আসিফ নজরুল জানান, ‘জুলাই গণহত্যা’ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের ফলে এখন ইন্টারপোলে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারির বিষয়টি আরও সহজ হবে। 

জুলাই সনদ হলে সংবিধান সংস্কারের পথ প্রশস্ত হবে, বলেন তিনি।

একই দিনে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনের নেতাদের কাছ থেকে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি গ্রহণের পর আইন উপদেষ্টা জানান, সরকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার মানসিকতা রেখেছে। এজন্য উপদেষ্টা পর্যায়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে, যা কর্মচারীদের আপত্তি শুনে সুপারিশ দেবে।

ড. আসিফ নজরুল স্বীকার করেন, কিছু ধারায় অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে, যা প্রত্যাশিত নয়। তাই বিস্তারিত শুনে বোঝার জন্যই এই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২৫ মে জারি করা এই অধ্যাদেশে চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে বিভাগীয় মামলা ছাড়াই চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে। এই বিধানকে কালো ও নিবর্তনমূলক আইন আখ্যা দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আইন উপদেষ্টা বলেন, সরকার সর্বোচ্চ মানবিকতার সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনা করছে। আমি যদি কমিটিতে থাকি, কর্মচারীদের বক্তব্য আন্তরিকভাবে শুনব এবং উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তা তুলে ধরব।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়