News Bangladesh

শেকৃবি সংবাদদাতা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:৪৪, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আপডেট: ১৪:৪৭, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শেকৃবিতে শিক্ষক মুকুলের বিচার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

শেকৃবিতে শিক্ষক মুকুলের বিচার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

শিক্ষক মুকুলের নিপীড়নের বিচার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলাদেশ

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এগ্রিবিজনেস অনুষদের শিক্ষক আবু জাফর আহমেদ মুকুলের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও একাডেমিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে শিক্ষার্থীরা তাকে দ্রুত বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে তদন্ত চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন এবং দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ এগ্রিবিজনেস অনুষদের একাধিক ছাত্রী অধ্যাপক আবু জাফর আহমেদ মুকুলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি ছাত্রীদের একান্তে দেখা করতে বলতেন, ফোন ও মেসেজের মাধ্যমে উত্ত্যক্ত করতেন, গভীর রাতে ভিডিও কল করতেন এবং বিভিন্ন স্থানে একা যেতে বলতেন। পাশাপাশি, ছাত্রীদের নম্বর বেশি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কাছে টানার চেষ্টা, বাসার সামনে গিয়ে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব, ক্লাসে ব্যক্তিগত হয়রানি, পরীক্ষায় অনিয়ম ও হুমকি দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও উঠে আসে।

আরও পড়ুুন: চেষ্টা করছি প্রাথমিক শিক্ষার মান বাড়ানোর: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

তদন্ত ও শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া
শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে এবং তদন্ত শুরু করে। তবে দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি এবং বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। 
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, অধ্যাপক মুকুলের বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন সময় অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে, কিন্তু কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা বলেন, প্রশাসনের এই গড়িমসি এবং দীর্ঘসূত্রিতা একজন অপরাধীকে রক্ষা করার নামান্তর। শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা দুই দিনের আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এর মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে আমাদের আন্দোলন চলবে এবং প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”

প্রশাসনের বক্তব্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম বলেন, আগের তদন্ত কমিটি ভেঙ্গে ১৩ ফেব্রুয়ারী নতুন কমিটি গঠন করা হয় এবং দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এই কমিটি শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিবে। গতবারও তদন্তকারী পুলিশ শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা ভয়ে সাড়া দেয়নি। আশা করি এবার এমনটা হবে না।

অতীতের অভিযোগ
অধ্যাপক আবু জাফর আহমেদ মুকুলের বিরুদ্ধে এর আগেও নানা অনিয়ম ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল। দশ বছর আগেও তার বিরুদ্ধে এক নারী শিক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগ ছিল, কিন্তু তখনও প্রশাসন তেমন কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।

এই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে এবং তারা দ্রুত অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়