আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে: খালেদা
ঢাকা: দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
খালেদা জিয়া বলেন, “সরকার দেশের আইন কানুন ও বিচারিক রায়কে পর্যন্ত অশ্রদ্ধা করছে। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও অনেক ক্ষেত্রে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনেক রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি না দিয়ে আটকে রাখছে। জামিন পেলেও কারাফটক থেকে আটক করা হচ্ছে। সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এ ধরণের তৎপরতা দেশের আইনের শাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শণ ছাড়া আর কিছুই নয়।”
তিনি এ ধরনের বেআইনী কর্মকাণ্ড থেকে সরকারকে সরে আসার আহবান জানান।
আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “হিংসাশ্রয়ী রাজনীতি দেশের মৃতপ্রায় গণতন্ত্রকে কফিনে পুরে ফেলবে একদিন। আর সরকার যেন সেই কাজটি করতেই বেশি তৎপর হয়ে উঠেছে।”
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আসুন হিংসা বিদ্বেষের পথ ছেড়ে একটি টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য আমরা পূর্বের মতো এক সাথে কাজ করি।”
দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি মোজাহার আলী প্রধানকে জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আবারো তাকে আটক করায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং সরকারের এই ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি এ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, “বর্তমান বিনা ভোটের সরকার তাদের অনৈতিক ক্ষমতাকে সংহত করতে সারাদেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর যে অত্যাচারের স্টিমরোলার চালাচ্ছে, তা বর্ণনাতীত।”
সরকার সাংবিধানিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃত রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনেও বাধা দিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। আর এসব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থার দিকে হাঁটছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করে দীর্ঘ সময় দেশ শাসন করা যাবে না। আশা করি সরকারের বোধোদয় ঘটবে। সারা পৃথিবীতে যখন কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটছে, একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের বিলোপ ঘটছে, তখন শেখ হাসিনার সরকার বিরোধী দলকে নির্মূল করার দিবাস্বপ্নে বিভোর।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/আরআর/এজে
নিউজবাংলাদেশ.কম








