রাজশাহীতে আ.লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত!
রাজশাহী: বিএনপি-জামায়াত ভর করেছে রাজশাহী আওয়ামী লীগের উপর। প্রায় প্রতিদিনই রাজশাহীর কোনো না কোনো উপজেলায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা যোগদান করছেন আওয়ামী লীগে। নবাগতদের নেতৃত্বেই চলছে এই অঞ্চলের আওয়ামী লীগের রাজনীতি। এমনই এক নেতা ওমর ফারুক চৌধুরী। দেড় দশকেরও কম সময় আগে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করে তিনি এখন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পর থেকে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগে যোগদানের হিড়িক পড়ে যায়। কেউ হামলা মামলা থেকে বাঁচতে, আবার কেউ সরকারি দলের সুবিধা নিতে ভিড়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। বর্তমান সরকারের মন্ত্রী, সাংসদ থেকে শুরু করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে থেকেও ফুলেল শুভেচ্ছাসহ তারা যোগদান করছেন আওয়ামী লীগে। ফলে সংগঠনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে বাড়ছে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার রাজশাহীর চারঘাটের শলুয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠে খোদ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন ভোট কেন্দ্র পোড়ানো ও হামলা মামলার আসামি শলুয়া ইউনিয়ন কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেছুর রহমান ও জামায়াত কর্মী হুমায়ুন কবির। তাদের নেতৃত্বে সেখানকার প্রায় দুশতাধিক বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীও যোগদান করেন।
মোখলেছুর রহমান গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগের দিন শলুয়া ডিগ্রী কলেজ ভোট কেন্দ্র পোড়ানো, ভোটের দিনে হামলা এবং ওই কলেজ মাঠে ২০১২ সালে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলের অনুষ্ঠানে জারি করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার মামলার আসামি। এরমধ্যে ভোট কেন্দ্র পোড়ানো মামলায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। এসব মামলায় তিনি পলাতক রয়েছেন।
এর একদিন পর শুক্রবার সন্ধ্যায় আড়ানী মনোমহিনী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইফতার পার্টিতে আড়ানী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চাঁন মিয়া ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবদুস সালাম যোগদান করেন। সাংসদ শাহরিয়ার আলমের নিকট আত্মীয় বাবুল হোসেন ছিলেন আড়ানী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। ২০১১ সালের ১৫অক্টোবর আড়ানী পৌরসভার উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে শাহরিয়ার আলম বিএনপি নেতা বাবুল হোসেনকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। এ নিয়ে সংগঠনে তুমুল বিভেদ তৈরি হয়। পরে বাবুল হোসেন নির্বাচনে পরাজিত হন। বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহসভাপতি পদে রয়েছেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহরিয়ার আলম বলেন, “যোগদান নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের সিদ্ধান্তে যোগদান হয়েছে। মামলার আসামি বা দোষী হলে শাস্তি পেতেই হবে।”
তিনি বলেন, “অন্যদল থেকে যোগদান করলে অবশ্যই তাকে কোনো পদ দেওয়ার পক্ষে আমি না। তারা যেন কখনোই পুরনো ত্যাগীদের উপরে চলে না যায় সেটাও দেখতে হবে।”
গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মজিদ। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পর তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক (বর্তমান সভাপতি) ওমর ফারুক চৌধুরীর হাতে ফুল দিয়ে। এরপর তিনি ফারুকের কাছ থেকে সমর্থন পেয়ে কাঁকনহাট পৌরসভার মেয়র হন। পরে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাঁকনহাট পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতিও হন। জাহিদুল ইসলাম ছিলেন গোদাগাড়ী জামায়াতের শীর্ষ নেতা। জামায়াতের সমর্থনে তিনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন। এরপর ফারুক চৌধুরীর হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
রবিউল ইসলাম ছিলেন গোদাগাড়ী উপজেলা যুবদলের সভাপতি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের কিছুদিন আগে পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। এরপর তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এখন তিনি গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, বর্তমান রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এক সময় বিএনপির সক্রিয় রাজনীতি করতেন। ২০০১ সালের ৮ মে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভোটে বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী ছিলেন। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল হকের পক্ষে অনেকবার নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় অংশ নেন। এরপর তিনি নিজেই আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ২০০১ সালে মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে বিএপি নেতা আমিনুল হকের বিরুদ্ধে ভোট করে পরাজিত হন। ২০০৫ সালের তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত সংসদ নির্বাচনে এমপি হয়ে তিনি সরকারের শিল্প প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পেয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা জাতীয় কমিটির সদস্য ও রাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল ইসলাম ঠান্ডু বলেন, “ওমর ফারুক চৌধুরী আমার মাধ্যমেই আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। পরে ২০০৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুকের সাথে প্যানেল করে আমার রাজনীতি ধ্বংস করেন। এরপর তিনি তাজুল ইসলাম ফারুকের রাজনীতিও খেয়েছেন।”
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ওমর ফারুক চৌধুরীর মোবাইলে ফোন করলে তিনি বলেন, “অন্য দল থেকে এলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এক বছর পর পদ পেতে পারেন, যদি নেতাকর্মীরা পছন্দ করেন। বিএনপি থেকে যারা এসেছেন, তারা প্রপার কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতা হয়েছেন।”
নুরুল ইসলাম ঠান্ডুর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এসব বাজে কথা, জেলাস থেকে বলা। সঠিক নয়।” তিনি বলেন, “রাজশাহী অঞ্চলটাই আওয়ামী লীগের জন্য খারাপ। অন্যদলের লোকদের না নিলে দল সমৃদ্ধ হবে কীভাবে? তাদের নিয়েই দলকে সমৃদ্ধ করতে হবে। কোনো ক্রিমিনালকে না নিলেই হলো।”
তিনি বলেন, “সেন্টাল কমিটিতে যারা আছেন, তাদের কজন মায়ের পেট থেকে আওয়ামী লীগ করেন? আমিও দলে যোগদান করে এসেছি, তাই বলে আমার লেজ ধরে টানবেন? আমি পারফর্ম ভালো করছি তাই পদ পেয়েছি।”
২০০৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামী লীগের সাংসদ হন এনামুল হক। অভিযোগ রয়েছে, পরিবার জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তিনি হঠাৎ করেই মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামী লীগের সাংসদ হন। এরপর তিনি জামায়াত-শিবির ও বাংলা ভাইয়ের অনুসারীদের পুনর্বাসন করতে থাকেন। তিনি বাগমারা উপজেলা ও পশ্চিম জেলা শিবিরের সভাপতি বাংলা ভাইয়ের সহযোগী মোল্লা এম আলতাফ হোসেন কে দলে নিয়ে ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেন। তিনি এখন উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। গত ১০ এপ্রিল জামায়াতের বাগমারা উপজেলার সাবেক সেক্রেটারি নুরুল ইসলামকে সংগঠনে যোগদান করান। এমপির নির্দেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মতিউর রহমান টুকু তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে সংগঠনে নেন।
এরপরই তিনি উপজেলা শিবিরের সভাপতি মিজানুর রহমানকে তাহেরপুর ডিগ্রী কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ দেন। জামায়াতের পশ্চিম জেলা আমির আহাদ আলী কবিরাজকে খাঁপুর দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে নিয়োগ দেন। জেলা বিএনপির সহসভাপতি এলাহী বক্স মন্ডলকে সালেহা এমারত ডিগ্রী কলেজের সভাপতি করেন। এভাবেই জামাত শিবিরের নেতাকর্মীকে তিনি পুনবার্সন করেন।
বাগমারা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সাহার আলী বলেন, “বিএনপি-জামাত থেকে আসা নেতা-কর্মীর অতাচারে প্রতিকূল অবস্থায় আছি। করণীয় কিছুই দেখছি না। এমপি সাহেব তদের দলে নিলে আমাদের কিছুই করার থাকে না। প্রতিবাদ করছি, কোনো প্রভাব পড়ে না। এটা কখনোই আওয়ামী লীগের জন্য শুভ নয়।”
সাংসদ এনামুল হক ওমরা পালনের জন্য দেশের বাইরে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বাগমারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সান্টু বলেন, “এমপি সাহেব আমাদের নেতা। তিনি যখন যোগদান করান, তখন করার কিছুই থাকে না। এবিষয়ে জেলা বা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ আমাদের কোনো সিদ্ধান্তও দেয় না। এটা সংগঠনের জন্য খুবই খারাপ ফল বয়ে আনবে। জামায়াত আপাতত সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে ম্যানেজ করে চলছে। এরা আগামীতে আমাদের জীবনের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।”
বিএনপি-জামায়াত প্রীতির অভিযোগ রয়েছে পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসনের সাংসদ কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারার বিরুদ্ধেও। পুঠিয়া উপজেলা জামায়াতের রোকন আরিফ হোসেনকে সম্প্রতি দলে নিয়েই তাকে জিউপাড়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি করেছেন। থানা জামাতের সদস্য মজিবর রহমানকে করেছেন সাধারণ সম্পাদক। জামায়াত নেতা কাদের আলীকে দিয়েছেন প্রচার সম্পাদকের পদ। শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি শুকুর মোল্লাকে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরেই আওয়ামী লীগে নিয়েছেন সাংসদ দারা। তাকে শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদটিও দিয়েছেন দলে নেওয়ার পরপরই। কিন্তু আজ পর্যন্ত বিএনপির পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেননি, আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানও করেননি আওয়ামী লীগে। ধোপাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিএনপি নেতা মতিউর রহমান মন্টুকে দলে নিয়ে প্রধান শিক্ষক করা হয়েছ। জিউপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আফসার আলী সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগে যোগদান করে গত ২১ এপ্রিল সরিষাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ পেয়েছেন। এনিয়ে যুবলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। হামলার সময় পিস্তলসহ ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল গ্রেফতার হন।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি জিউপাড়া ইউনিয়ন জামাতের সভাপতি ও মামলার পলাতক আসামী রুহুল আমিনকে সঙ্গে সেনভাগ-পন্নাপাড়া সড়কের উদ্বোধন করেন সাংসদ দারা। সেই মঞ্চে উঠে সাংসদ দারার সঙ্গে জামায়াত নেতা রুহুল আমিন কোলাকুলিও করেন। এ নিয়ে ওই অনুষ্ঠানে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবির নেতৃত্বে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পুঠিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি বলেন, “নাশকতার জন্য দায়ি জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে অনুষ্ঠান করতে হবে কেন? এমনটা আশা করিনি।”
পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী বলেন, “সাংসদ কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা বিএনপি-জামায়াতকে সংগঠনে এমনভাবে ঢুকিয়েছে যে প্রকৃত নেতাকর্মীরা তার ধারে-কাছেও ভিড়তে পারেনি। আগামী ২০ বছরেও বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের দূরে সরানো যাবে না।”
এবিষয়ে সাংসদ কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, “ওরা দেখছে ওসব (বিএনপি-জামায়াত) করে এখন আর কোনো লাভ নাই। তাই দলে আসতে চায়। আর আমরা দেখছি দলে নিলে দুইটা ভোট বাড়লো। এসব নিয়ে যারা কাজ করেন না- মস্ত বড় আওয়ামী লীগ সেজে বসে থাকেন তারা বাঁকা চোখে দেখেন, সমালোচনা করেন, কিন্তু ভোটার বাড়াতে তাদের দলে না নিয়ে তো কোনো উপায় নাই।”
একই অবস্থা রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকাতেও। সম্প্রতি নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম শান্ত যোগদান করেছেন আওয়ামী লীগে। নগরীর সাবেক ছাত্রদল ও যুবদল নেতা নিযাম উল আজিম দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগে যোগদান করে বাগিয়ে নিয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের পদটি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা বলেন, “বর্তমানে যারা এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন তাদের কারো পরিবারই আওয়ামী লীগ নয়। তারা বিএনপি-জামায়াত থেকে এসেছেন। তারা এখন তাদের অনুসারীদেরই সামনে আনছেন। ফলে প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পেছনে পড়ে যাচ্ছেন। এটা সংগঠনের জন্য ভয়াবহ।”
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, “এসব বিএনপি-জামাতের লোকজন নিয়ে আমি খুব বিব্রতকর অবস্থায় আছি। জামাতিরা চাচ্ছে আওয়ামী লীগে ঢুকে আমাদের শেষ করে ফিরে যেতে। আর আওয়ামী লীগের একটি অংশ ভাবছে যাদের নামে মামলা নাই তাদের দলে নিয়ে কাঁদা মাখাতে। তবে দুপক্ষেই মত আছে। এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেবার আগে আরও ভাবতে হবে।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ
নিউজবাংলাদেশ.কম








