News Bangladesh

আইন-আদালত ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৫:১৫, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
আপডেট: ১৬:০৪, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

গুমের সরাসরি নির্দেশ দিতেন শেখ হাসিনা: ট্রাইব্যুনালকে চিফ প্রসিকিউটর

গুমের সরাসরি নির্দেশ দিতেন শেখ হাসিনা: ট্রাইব্যুনালকে চিফ প্রসিকিউটর

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ।ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়েছে।

 রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল শুনানি শুরু করেন।

প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম অভিযোগ গঠনের আবেদন উপস্থাপন করেন। তিনি আবেদনে উল্লেখ করেন, এসব ঘটনার দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনের আওতায় বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার মতো উপযুক্ত ভিত্তি রয়েছে বলে প্রসিকিউশন মনে করে।

ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এ মামলায় গ্রেফতার তিন সেনা সদস্যকে দুপুরের শুনানিতে কড়া নিরাপত্তায় ঢাকার সেনানিবাসের বিশেষ কারাগার থেকে হাজির করা হয়। তারা হলেন,  ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী

এ ছাড়া মামলার বাকি আসামিরা পলাতক। তাদের মধ্যে রয়েছেন, মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, লে. জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) সাইফুল আবেদিন, লে. জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লে. জেনারেল তাবরেজ শামস চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক, মেজর জেনারেল তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবির আহাম্মদ ও লে. কর্নেল (অব.) মখসুরুল হক।

আগে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আজ অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পলাতকদের জন্য স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। স্বেচ্ছায় পক্ষে লড়তে চাইলে শেখ হাসিনার আইনজীবী হিসেবে প্রথমে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেডআই খান পান্না দায়িত্ব নেন। পরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ৩ ডিসেম্বর তিনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালে মো. আমির হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

গত ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা তিন কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে শুনানি শেষে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি পলাতক আসামিদের হাজির করতে সাত দিনের মধ্যে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: গণহত্যা মামলার অভিযোগে জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

এর আগে ৮ অক্টোবর মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরবর্তীতে অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়